সেনাবাহিনী প্রধান কর্তৃক নড়াইল এলাকা পরিদর্শন
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি আজ মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর ২০২২) মধুমতি আর্মি ক্যাম্পের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে নড়াইল গমন করেন। এসময় তিনি মধুমতি রেলওয়ে ব্রীজের কাজের অগ্রগতি এবং বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। তিনি কালনা এলাকায় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এসময় নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায় অধ্যাপক শেখ মোঃ রোকনউদ্দিন আহমেদ ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এছাড়াও সেনাবাহিনী প্রধানের পিতা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক এস এম রোকনউদ্দিন আহমেদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মল্লিকপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক এস এম রোকনউদ্দিন আহমেদ ভবন উদ্বোধন করেন। বিদ্যালয়টির পক্ষ হতে সেনাবাহিনী প্রধানকে মানপত্র প্রদান করা হয়। এসময় সেনাবাহিনী প্রধান শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় করেন।
এছাড়াও লোহাগড়া সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা 'অঙ্কুর’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন সেনাবাহিনী প্রধান। এরপর তিনি লোহাগড়া সরকারী আদর্শ মহাবিদ্যালয় গমন করেন এবং সেখানে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) কর্তৃক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় করেন। সেনাবাহিনী প্রধান আসন্ন শীতকালীন প্রশিক্ষণ উপলক্ষে ৫৫ পদাতিক ডিভিশন এর প্রস্তাবিত প্রশিক্ষণ অপারেশন ও লজিষ্টিকস এর প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
পরিদর্শনকালীন সময় চিফ কনসালটেন্ট জেনারেল, এডহক কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট মেজর জেনারেল এ কে এম রেজাউল মজিদ, এনডিসি এএফডব্লিউসি, পিএসসি এবং জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার, যশোর এরিয়া মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ, এসপিপি, এনডিইউ, পিএসসি সহ যশোর এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তাগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।