South east bank ad

সাড়ে তিন বছরেও আইপিওর অর্থে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেনি একমি পেস্টিসাইডস

 প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   কর্পোরেট

সাড়ে তিন বছরেও আইপিওর অর্থে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেনি একমি পেস্টিসাইডস

কারখানায় বিনিয়োগ ও ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ২০২১ সালের অক্টোবরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেড। আইপিওর শর্তানুযায়ী অর্থ হাতে পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে ব্যাংক ঋণ পরিশোধের কথা ছিল। এর সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় পেরোলেও কোম্পানিটি এখনো ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেনি। কোম্পানিটির নিরীক্ষক আশরাফ উদ্দিন অ্যান্ড কোং, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস তার মতামতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে নিরীক্ষক জানিয়েছে, একমি পেস্টিসাইডস আইপিওর অর্থ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে হাতে পায়। এ অর্থ থেকে ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ পরিশোধ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়। তবে বিভিন্ন খাতে ২০২৫ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত কোম্পানিটি ২১ কোটি ৮৬ লাখ ৩২ হাজার ৩১৬ টাকা ব্যয় করলেও ব্যাংক ঋণ পরিশোধে কোনো অর্থ ব্যয় করেনি।

কোম্পানির কারখানা ভবন নির্মাণে ১০ কোটি ৩ লাখ ৭৪ হাজার ১০৫ টাকা, বৈদ্যুতিক স্থাপনায় ২ কোটি ৪ লাখ এবং নতুন প্লান্ট ও যন্ত্রপাতি কিনতে ৮ কোটি ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার ৬৫০ টাকা ব্যয় করেছে। এছাড়া ১ কোটি ৪৪ লাখ ২২ হাজার ৫৬১ টাকা ব্যয় করেছে আইপিও ইস্যু ব্যয় নির্বাহের জন্য। নিরীক্ষক জানিয়েছে, এ ব্যয়ের কিছু অংশ নগদ পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু শর্তানুযায়ী ব্যাংক চ্যানেলের মাধ্যমে এটি করা উচিত ছিল।

বর্তমানে কোম্পানির অব্যবহৃত অর্থ সুদসহ প্রায় ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৫৬ হাজার ১৭০ টাকা এফডিআর হিসেবে ব্যাংকে জমা রয়েছে। এর একটি অংশ মামলা-সংক্রান্ত কারণে ফ্রিজ করা হয়েছে। বাকি অংশ ঋণের গ্যারান্টি হিসেবে ব্যাংকে রাখা হয়েছে বলে নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে অব্যবহৃত আইপিও অর্থ ব্যয়ের সময়সীমা বাড়াতে কোম্পানিটি এ বছরের ৩০ জুলাই বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) করেছে। যেখানে বিনিয়োগকারীদের ভোটে এ ফান্ড ব্যবহারের সময়সীমা ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) একমি পেস্টিসাইডসকে এ সময়সীমা বাড়ানোর সম্মতি দেয়।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) একমি পেস্টিসাইডসের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫৯ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৫৩ পয়সায়।

BBS cable ad

কর্পোরেট এর আরও খবর: