বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদের ৩৫ পদে ভোটগ্রহণ ২৮ মে

দেশের পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর ২০২৫-২৭ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ মে পরিচালনা পর্ষদের ৩৫টি পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিজিএমইএ নির্বাচন বোর্ডের সচিব মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ তথ্য জানানো হয়।
তফসিল অনুযায়ী, বিজিএমইএর সদস্যদের বকেয়া চাঁদা পরিশোধের সর্বশেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ মার্চ ২০২৫।
ভোটার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আগামী ৬ এপ্রিল। পরিচালক পদের প্রার্থীরা ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সর্বশেষ তারিখ ৬ মে।
বিজিএমইএর সদস্যদের নির্বাচনসংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য নির্বাচনী বোর্ডের সচিব (পরিচালক, তথ্য, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো) মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সদস্যদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর বিজিএমইএর তৎকালীন সভাপতি এসএম মান্নান কচি অন্তরালে চলে যান। তিনি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার অনুপস্থিতিতে পর্ষদের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খন্দকার রফিকুল ইসলামকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিজিএমইএর পর্ষদ ভেঙে দেয়ার দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ অক্টোবর পর্ষদ ভেঙে দিয়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-২ শাখা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, গত ২৪ আগস্ট এসএম মান্নান কচি সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করার পর পর্ষদ পুনর্গঠন করা হলেও সেটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ। এছাড়া তৈরি পোশাক শিল্পের সাম্প্রতিক অস্থিরতা ও শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে পর্ষদ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।
ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে প্রশাসক হিসেবে ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা ও পোশাক খাত অস্থিতিশীল হয়ে উঠলে নির্বাচন আয়োজন বাধাগ্রস্ত হয়।
বিজিএমইএর সবশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত বছরের ৯ মার্চ। ২০২৪-২৬ মেয়াদের ওই নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মোট ৩৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৭০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা থেকে ২৬ জন এবং চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন নয়জন। ৩৫টি পদের সবক’টিতেই বিজয়ী হন সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থীরা, যারা আওয়ামীপন্থী হিসেবে পরিচিত। এ প্যানেলের নেতৃত্বে থাকা বিজিএমইএর সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং সেহা ডিজাইন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম মান্নান কচি সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫১০ ভোট পেয়ে পরিচালক নির্বাচিত হন। নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল ফোরাম প্যানেল। এর নেতৃত্ব দেন সুরমা গার্মেন্টসের পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি আগের কমিটির পরিচালক ছিলেন এবং একবার সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।