লেদার শিল্প পণ্যের নতুন গন্তব্য হতে পারে উজবেকিস্তান
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম শুক্রবার উজবেকিস্তান লেদার ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আকবর সুলতানোভের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মিরসাইদ জামিদোভ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যকার বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা ও অগ্রগতি তুলে ধরে দুদেশের মধ্যে লেদার সেক্টরে সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
লেদার ও লেদার সামগ্রীর গুণগতমান ও বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উৎপাদিত প্রোডাক্ট পশ্চিমা বিশ্বসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি ও সমাদৃত হচ্ছে।
উজবেকিস্তানসহ মধ্য এশিয়ার দেশসমূহ বাংলাদেশি পণ্যের একটি নতুন গন্তব্য হতে পারে এবং এক্ষেত্রে উজবেকিস্তানের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনিরুল ইসলাম অভিমত প্রকাশ করেন। লেদার শিল্পকে আরও উন্নতিকরণ ও আকর্ষণীয় করার প্রয়াসে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত এ খাতে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধাসমূহ বিবৃত করেন। তিনি উজবেকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের আরও আন্তরিকভাবে এক্সপ্লোর করার জন্য উৎসাহিত করতে চেয়ারম্যানকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।
চেয়ারম্যান সুলতানোভ লেদার খাতে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অর্জন ও স্বীকৃতির প্রশংসা করে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে উজবেকিস্তান উপকৃত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন। দুদেশের ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যকার বোঝাপড়াকে আরও শক্তিশালী ও সুসংহত করতে তিনি দুদেশের মধ্যে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি পর্যায়ে সফর বিনিময় ও আইডিয়া আদান-প্রদান করার ওপর জোর তাগিদ দেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনুরূপ সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার ব্যাপারে তিনি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যকার বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ককে আরও ফলপ্রসূ, বিশেষ করে লেদার সেক্টরে যে সম্ভাবনা রয়েছে তা বাস্তবায়নে দুপক্ষ আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশা প্রকাশ করেন।