সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার আইএমএফের
বাংলাদেশের সংস্কারের এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এ ছাড়া অর্থনীতির বর্তমান প্রতিকূলতাগুলো মোকাবিলায় বাংলাদেশ সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও সরকারের মূল ব্যয় যৌক্তিকভাবে করাসহ বেশকিছু নীতিগত সামঞ্জস্য এনেছে, যা সমর্থন করছে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সম্প্রতি উন্নয়ন ও সংস্কারের অগ্রাধিকার বিষয়ে আলোচনার জন্য গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সফরে আসে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল। ক্রিস পাপাজর্জিওয়ের নেতৃত্বাধীন এই দল গতকাল সোমবার তাদের সফর শেষে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই সমর্থনের কথা জানায়।
সেখানে বলা হয়, সময়মতো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন দেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সাহায্য করেছে, ফলে পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরে অর্থনীতিতে। এর পরও সম্প্রতি অস্থিরতা ও বড় বন্যাগুলোর ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্যভাবে গতি হারিয়েছে। আবার মূল্যস্ফীতি হার ২ অঙ্কের ঘরে রয়ে গেছে। লেনদেনের ভারসাম্যের (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) অবনতি বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। ফলে রাজস্ব আহরণ কমেছে, একই সঙ্গে (সরকারের) ব্যয়ের চাপ বেড়েছে। (বিপুল) অভ্যন্তরীণ বকেয়াও জমা হয়েছে। এতে আর্থিক খাতের দুর্বলতা আরো দৃশ্যমান হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এসব প্রতিকূলতা মোকাবিলার জন্য দরকারি নীতি ও সংস্কারের বিষয়ে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে আইএমএফ কর্মকর্তাদের খোলামোলা ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও সরকারের মূল ব্যয় যৌক্তিকভাবে করাসহ নীতিগত সমন্বয়ের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টা আমরা সমর্থন করবো।
আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির আওতায়, বাংলাদেশের সংস্কার এজেন্ডাগুলো এগিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবো। এজেন্ডাগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা, কর্মসংস্থান সৃজন উৎসাহিত করা, প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা এবং শক্তিশালী, টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা।