পিপলস লিজিংয়ের দর বেড়েছে ১৮ শতাংশ

ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের শেয়ারদর গত সপ্তাহে ১৮ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে শেয়ারটির দর দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সায়, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ টাকা ১০ পয়সা। এতে কোম্পানিটির শেয়ার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৫ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) পিপলস লিজিংয়ের সুদ আয় হয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ১৮৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১৬৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট লোকসান বেড়েছে ১৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।
প্রথমার্ধে পিপলস লিজিংয়ের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬ টাকা ৬২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ টাকা ৭৪ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ১৫৬ টাকা ১২ পয়সায়। গত ৩০ জুন শেষে পিপলস লিজিংয়ের পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯০৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে পুঞ্জীভূত লোকসান ছিল ৪ হাজার ৭১৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি পিপলস লিজিংয়ের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৪ টাকা ৯৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১১ টাকা ১৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ১৪৯ টাকা ৫০ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে পিপলস লিজিংয়ের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১১ টাকা ১৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১১ টাকা ৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ১৩৫ টাকা ৭০ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে পিপলস লিজিংয়ের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১১ টাকা ৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১৪ টাকা ৪০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ১২৪ টাকা ৫৬ পয়সায়।
২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পিপলস লিজিংয়ের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ২৮৫ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২৮ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৯৭। এর ১৮ দশমিক ১৫ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৯ দশমিক ৩৯, বিদেশী বিনিয়োগকারী দশমিক ৬৮ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৭১ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।