জৈন্তাপুরে ডালিম হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
গত (৬ মার্চ) রবিবার জৈন্তাপুর মডেল থানায় বাচ্চু মিয়া একটি নিখোঁজ জিডি করেন। তাতে তিনি তার ছেলে ডালিম মিয়া (৫ মার্চ)
শনিবার হতে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন।
নিখোঁজ সংবাদ প্রাপ্তীর পর থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে থানা পুলিশ জৈন্তাপুর থানার দেও চাপরা হাওরের সাহেব আলীর পুকুর হতে অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করে।
লাশ উদ্ধার পরবর্তী সময়ে উপস্থিত লোকজন ডালিমের লাশ হিসেবে শনাক্ত করলে পুলিশ নিয়মঅনুযায়ী লাশের যাবতীয় আইনানুগ কার্যক্রম সম্পন্ন করে পরিবারের নিকট হস্থান্তর করে।
পরবর্তীতে ৭ মার্চ পার্শ্ববর্তী এলাকার ঘাটের চটি নয়াটিলা জামে মসজিদের পাশে আরেকটি লাশ উদ্ধার করে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ।
সিআইডির এক্সপার্ট টিম কর্তৃক লাশের ফিঙ্গার প্রিন্ট যাচাই করে মৃত দেহটি ডালিমের বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
ঘটনাচক্রে বাচ্চু বাদী হয়ে ১টি এবং সত্যানন্দ বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন জৈন্তাপুর মডেল থানায়।
উভয় ঘটনার প্রকৃত আসামীদের খোঁজে বের করতে সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম - এর দিকনির্দেশনায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ লুৎফর রহমানের তত্ত্বাবধানে দুটি টিম করে দেন।
পাশাপাশি জেলা গোয়েন্দা শাখার উত্তর এবং দক্ষিণের অফিসার ইনচার্জের সমন্বয়ে বিশেষ টিম গঠন করে থানা পুলিশকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
বিশেষ টিমের সদস্যরা গত ৯ মার্চ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডালিম হত্যাকান্ডের মূল হোতাকে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীার আহমেদ এর নেতৃত্বে মামলার আইও এসআই শহীদুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতাল হতে গ্রেফতার করে।
আসামী ফখর হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করছে।
ভিকটিম শম্ভু দেবনাথ এর হত্যাকান্ডে জড়িত প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতারে জেলা গোয়েন্দা শাখাসহ থানা পুলিশের সদস্যরা তৎপর রয়েছে।