মানবতার সেবক এম আমানউল্লাহ
এম আমানউল্লাহ একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পদ্যোক্তা। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান আমান গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। বিচক্ষণ এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এই ব্যবসায়ী বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য খাতকে সুসংহত করতে আমান গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। গূণগত মান এবং সর্বোচ্চ সেবার নিশ্চয়তা দিয়ে বহু চরাই উৎরাই, বাঁধা পার হয়ে এখন উঠে এসেছেন সফলতার উচ্চ শিখরে। কখনো নিজ নীতি থেকে বিচ্যুত হননি। অটল থেকেছেন নিজের লক্ষ্যে। সততা, নিষ্ঠা, ধৈর্য্য এবং নিরলস প্রচেষ্টায় নিজ হাতে তিনি আমান গ্রুপ নিয়ে এসেছেন আজকের এই বিশাল ব্যাপ্তি এবং বিরাট অবস্থানে। এম আমানউল্লাহর সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা এবং বিচক্ষণ তদারকিতে আমান গ্রুপ তৈরি করেছে বিরাট কর্মক্ষেত্র।
কেবল ব্যবসায়িক অঙ্গণেই নয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সামাজিক দায়িত্ব পালনেও দৃষ্টান্ত রেখেছেন এম আমানউল্লাহ। সাফল্যের শীর্ষে অবস্থান করেও ভুলে যাননি শিক্ষা, সাংস্কৃতি ও মানবতার কল্যাণে ব্যক্তিগত দায়িত্ব বোধ। দরিদ্র ও অবহেলিত মানুষের কথাও মনে রেখেছেন সবসময়। উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছেন নিত্যদিন। ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের জীবন চলার পথ সুগম করতে নীরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলেছে প্রতিদিন, প্রতি মূহুর্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী এম আমানউল্লাহ আজীবন বিভিন্ন সামাজিক ও মানব কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি বহু সামাজিক ও জনহিতকর সংস্থার সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত এবং একজন মানবতার সেবক। তিনি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার বোর্ড অব ট্রাস্টির সাবেক চেয়ারম্যান।
এম আমানউল্লাহ মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের স্পন্সর পরিচালক। তিনি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন এবং তার শাসনামলে ব্যাংকের অনেক উন্নতি হয়েছে। তার ব্যবসার দক্ষতা আমান গ্রুপ অব কোম্পানিজের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন, বৈচিত্র্যময় ব্যবসার সফল সূচনায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং সে গ্রুপের অধীনে সকল কোম্পানির চেয়ারম্যানের পদে অধিষ্ঠিত রয়েছে।
বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি হিসেবে এবং 'আমান গ্রুপ ফাউন্ডেশন' দ্বারা পরিচালিত একটি দাতব্য হাসপাতালের মাধ্যমে অবদানের জন্য তিনি বহুবার সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক পুরস্কৃত হয়েছেন গুলশান নর্থ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম আমান।
করোনাকালে মানবসেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আমান গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা এম আমানউল্লাহ। করোনা মহামারীর শুরু থেকেই তিনি মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও খাদ্যসামগ্রী নিয়মিত বিতরণ করে আসছেন। যেকোনো অসহায় বিপদে পড়া মানুষদের বিশেষ সহায়তা প্রদান করছেন প্রতিনিয়ত। হাজার হাজার মানুষের সার্বিক সহায়তার পাশাপাশি গরিব ও অসহায় পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার বিবাহযোগ্য মেয়েদের বিয়ে, অসহায়দের চিকিৎসা খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন এই ব্যবসায়িক আইকন। নিপীড়িত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাওয়া এম আমানউল্লাহ তার সৎ কর্মের কারণে বেঁচে থাকবেন আজীবন।