South east bank ad

যমুনার পেগাসাস বাইকে তরুণদের আস্থা

 প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   কর্পোরেট

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গতকাল (০৮ জানুয়ারি) শনিবার সরকারি ছুটির দিন সকাল থেকে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীরা ভিড় করেছেন। মেলায় যমুনা ইলেকট্রনিক্সের পেগাসাস বাইক ক্রয়ে তরুণদের মাঝে আগ্রহ দেখা গেছে। বিক্রিও হয়েছে বেশ কয়েকটি, জানালেন যমুনার ব্র্যান্ড ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম চৌধুরী।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেলার অষ্টম দিনে স্টল নির্মাণকাজ চলছে। শনিবার মেলার অভ্যন্তরে উত্তর পাশে দেখা যায়, ১০টির অধিক বিভিন্ন খাবার হোটেল। এসব হোটেলে পোলাও, বিরিয়ানিসহ ফাস্টফুড বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় ক্ষোভ জানালেন দর্শনার্থীরা। অনেকেই সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার খেতে বাইরের হোটেলগুলোর দ্বারস্থ হচ্ছেন।

ঢাকা-বাইপাস সড়কের ৪ লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলমান থাকায় মেলায় যেতে ধুলোবালিতে ভোগান্তি হচ্ছে। মেলায় আগত দর্শনার্থী পিতলগঞ্জের বাসিন্দা শিক্ষার্থী অন্তি বলেন, অভ্যন্তরীণ খাবার হোটেলগুলোয় রাখা হচ্ছে যা খুশি তাই মূল্য। খাবার হোটেলের সব খাবারের দাম সাধারণের হাতের নাগালের বাইরে। গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা গৃহিণী তানজুমা আইজি ইকরা বলেন, মেলার অভ্যন্তরীণ খাবার হোটেলে অতিমূল্য রাখা হচ্ছে। তাছাড়া মেলায় যাতায়াত পথে ভোগান্তি রয়েছে।

মিঠাই নামের খাবার হোটেল কর্মকর্তা জুলহাস মিয়া বলেন, স্টল পেতে যেমন খরচ হয়েছে, তেমন কর্মচারীর বেতনেও ব্যয় হয়েছে, যা মূল্য রাখা হচ্ছে তাতেও মাস শেষে লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। রূপগঞ্জ উপজেলা ফুড ইনস্পেকটর মনিরুল ইসলাম বলেন, মেলায় খাবারের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর অতিরিক্ত রাখলে মেলা কর্তৃপক্ষ দেখবে। আমরা স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ রক্ষায় দেখভাল করছি।

দর্শনার্থীদের দাবি, মেলার পাশে থাকা মহাসড়ক এশিয়ান বাইপাস সড়ক থেকে আসা ধুলায় দর্শনার্থীদের বিপাকে পড়তে হয়। পানি ছিটালে ধুলা কিছুটা কমবে। এছাড়া দেশে গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা বাড়লেও মেলায় মাস্ক ব্যবহারে তেমন সচেতনতা দেখা যায়নি। মাস্ক না পরার বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। মাসব্যাপী মেলায় এবার দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কসমেটিকস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া, জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর প্রভৃতি পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে।

বাণিজ্য মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে খোলা থাকছে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। মেলার প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের ৪০ এবং শিশুদের ২০ টাকা। এছাড়া কুড়িল বিশ্বরোড ফ্লাইওভার থেকে মেলা প্রাঙ্গণে যাতায়াতের জন্য ৩৫টি বিআরটিসির বাস চলাচল করছে। যাতে ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা। ইপিবি জানিয়েছে, দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়লে বাসের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। মেলার পরিচালক ও বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, এ বছর প্রথমবার জমেছে এ মেলা। এ বছরের যেসব ত্রুটি থাকবে সামনে তা থাকবে না।

BBS cable ad

কর্পোরেট এর আরও খবর: