গাড়ি উৎপাদনে জাপানি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের পরামর্শ
দেশে মোটর গাড়ি উৎপাদনে জাপানি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, জাপানের হোন্ডা কোম্পানি ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগে মোটরসাইকেল উৎপাদনের কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। এর ধারাবাহিকতায় মোটরগাড়ি উৎপাদন শিল্পেও জাপান বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে বিনিয়োগ করতে পারে।
রোববার শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসিও ইজুমি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ পরামর্শ দেন।
শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, বিসিআইসির চেয়ারম্যান শাহ মো. আমিনুল হকসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও জাপান দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় বাংলাদেশের শিল্পখাতের জাপানি বিনিয়োগ, প্রযুক্তি স্থানান্তর, জাপানি কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরসহ অন্যান্য বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, জাপান বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু নির্মাণ, পদ্মা সেতুর প্রাক-সমীক্ষা, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনসহ বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন করে আসছে। বাংলাদেশে সোলার গ্লাস উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে জাপানের রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশ সবসময় জাপানি বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। তিনি মালয়েশিয়ায় জাপানি বিনিয়োগে স্থাপিত ও বর্তমানে বন্ধ থাকা সনি কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের জন্য রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বাংলাদেশের প্রশিক্ষিত কারিগরি জনবল দক্ষতার সঙ্গে এ কারখানা পরিচালনায় সক্ষম বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশের জনবলের কারিগরি দক্ষতা বাড়াতে জাপানের উদ্যোগে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং হালকা প্রকৌশল শিল্পের মানোন্নয়নে একটি শিল্পপার্ক স্থাপনের সুযোগ রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন আমু।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতি সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। বাংলাদেশের জনগণের জীবন মানোন্নয়নে জাপানের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তিনি শিল্পায়নের জন্য যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।