South east bank ad

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আয়ের প্রায় ৬৪ শতাংশই ক্যাপাসিটি চার্জ

 প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আয়ের প্রায় ৬৪ শতাংশই ক্যাপাসিটি চার্জ

বিপরীতে কেন্দ্রটি আয় করে ৫ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনার্জি চার্জ (জ্বালানি ও আনুষঙ্গিক) হিসেবে পায় ২ হাজার ১৪২ কোটি টাকা, আর ক্যাপাসিটি চার্জ থেকে আসে ৩ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ওই অর্থবছরে যে আয় করেছে তার প্রায় ৬৪ শতাংশই এসেছে ক্যাপাসিটি চার্জ থেকে।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) পরিচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্বাভাবিক উৎপাদনে থাকলে ক্যাপাসিটি চার্জ কোনোভাবেই এত বেশি হওয়ার কথা নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই কেন্দ্রটির প্রকৃত বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা যাচাইসহ আর্থিক নানা অসংগতি খতিয়ে দেখার আহ্বান তাদের। কেননা ক্যাপাসিটি চার্জ এখন বিদ্যুৎ খাতের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাগেরহাটের রামপালে নির্মিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিয়ে শুরু থেকেই রয়েছে বিতর্ক। বিশেষ করে সুন্দরবনের কোলঘেঁষে এ ধরনের প্রকল্প নির্মাণ পরিবেশকে ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে ফেলবে বলে পরিবেশবাদীদের বড় রকমের আশঙ্কা। সেই সঙ্গে এর অতিরিক্ত নির্মাণ ব্যয়, ব্যবহৃত কয়লার দামসহ নানা বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিশেষজ্ঞরা।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটি ভারতকে আর্থিকভাবে সুবিধা দেয়ার অংশ হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিপিডিবিকে বেশি দামেই বিদ্যুৎ কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। উচ্চমাত্রায় ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধে পিডিবি কী পরিমাণ আর্থিকভাবে পঙ্গু হচ্ছে সেটি আমরা দেখেছি। এর পরও রামপালের মতো একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিপুল পরিমাণ ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে যাচ্ছে।’

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নেয়া এ প্রকল্প অলাভজনক ও অর্থনৈতিকভাবে অগুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে শুরু থেকেই পরিবেশগত আপত্তি রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রটির ব্যয়, বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক কিছুতেই অসংগতি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ চুক্তিতে আসলে কী আছে সেটিও আমরা জানি না। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র আর্থিকভাবে কোনো সুবিধাই দিচ্ছে না বাংলাদেশকে। তাই আইনি প্রক্রিয়ায় গিয়ে এ কেন্দ্র বাতিলের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’

BBS cable ad

মন্ত্রনালয় এর আরও খবর: