South east bank ad

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ৫০ হাজার বই বিতরণ করেছে বিকাশ

 প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   কর্পোরেট

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ৫০ হাজার বই বিতরণ করেছে বিকাশ
সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে এ বছর দেশজুড়ে ৭৪টি স্কুল ও ব্যক্তি উদ্যোগের লাইব্রেরিতে ৫০ হাজার বই বিতরণ করেছে বিকাশ।

বইগুলোর একটি অংশ বিকাশের উদ্যোগে একুশে বইমেলায় আসা পাঠক-লেখক-দর্শনার্থীদের কাছ থেকে ও সুপারশপ আগোরা ও মীনা বাজার, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া হাউজ, সব বিকাশ কাস্টমার কেয়ার, কাস্টমার সেন্টার ও বিকাশের অফিসগুলো থেকে সংগহ করা।

এসব বইয়ের সঙ্গে বিকাশের পক্ষ থেকে আরও বই যুক্ত করে মোট ৫০ হাজার বই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের বিতরণ করা হয়।

নির্ভয় ফাউন্ডেশন, অদম্য ১৯, চারুলতা, আলোর দিশারী, ইগনাইট ফাউন্ডেশন, আলোর ধারা স্কুল, ড্রিম স্কুল, আলোর ভুবন গ্রন্থাগার, খিলগাঁও পাঠশালা, সবার পাঠশালা, হাতে খড়ি ফাউন্ডেশন, তাকওয়া ফাউন্ডেশন, স্টেশন পাঠাগার, হেল্প স্কুল ও অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুলসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে এসব বই পৌঁছে দেওয়া হয়।

২০২০ সাল থেকেই বাংলা একাডেমির বইমেলায় আসা পাঠক-লেখক-দর্শনার্থীদের নিয়ে এ কার্যক্রমকে গতিশীল করতে বই সংগ্রহ করে বিতরণ শুরু করে বিকাশ। এ নিয়ে গত তিন বছরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য মোট ৭২ হাজার ৫০০টি বই দিয়েছে বিকাশ।

সব ধরনের বই পড়তে পারার আনন্দ নিয়ে শিশুপল্লী স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র শোয়েব বলে, বই আমার কাছে সব। সায়েন্স ফিকশন ও উপন্যাস আমার পছন্দের হলেও বিকাশ সব ধরনের বই দিয়েছে। এসব দেশি-বিদেশি বই আমাদের পড়াশোনার বাইরে অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিচ্ছে।

ঢাকার হাইকেয়ার স্কুলের প্রিন্সিপাল (ভারপ্রাপ্ত) রওশন আরা বেগম বলেন, বইগুলো আমাদের বাচ্চাদের বুদ্ধি বিকাশে সহায়তা করবে। সেইসঙ্গে তাদের কল্পনাশক্তি বাড়বে ও তারা নিজেরাও লেখালেখি, গল্প বলায় অনুপ্রাণিত হবে।

অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ ইমতিয়াজ জামি বলেন, তিন বছর ধরে সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের জন্য বই সংগ্রহ ও বিতরণ করে আসছি। এ বছর আমরা দেশের আটটি বিভাগের স্কুল ও লাইব্রেরিতে বই বিতরণ করেছি। এ প্রোগ্রাম আমরা আগামীতেও অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো।

বিকাশের চিফ মার্কেটিং অফিসার মীর নওবত আলী বলেন, বিকাশ সব সময়ই সৃজনশীল ও মেধা-বিকাশ উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার চেষ্টা করে। ভবিষ্যতেও সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশু-কিশোররা যাতে সব ধরনের বই পড়ে নিজেদের বিকশিত করতে পারে, সে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে বিকাশ।

বিকাশ সবসময়ই বইয়ের সঙ্গে থেকেছে। আগামী প্রজন্মের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে দেশের দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত আছে। এ পর্যন্ত সারাদেশের ২ হাজার ৯০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৬০০ বই দিয়েছে বিকাশ, যা সরাসরি ২৬ লাখ শিক্ষার্থীকে বই পড়ার সুযোগ দিয়েছে।

এছাড়া মুজিব শতবর্ষ উদযাপন ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে স্কুলশিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে সারাদেশে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের ৫০০টি স্কুলে ২০ হাজার কপি গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বিতরণ করেছে। যা প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে পৌঁছে গিয়েছে।

বই কিনতে উৎসাহিত করতে গত আট বছর ধরে বইমেলা উপলক্ষে বই কেনায় ক্যাশব্যাকও দিয়ে আসছে বিকাশ। পাশাপাশি বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব অমর একুশে বইমেলায় বিকাশ গত চার বছর ধরে মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বাংলা একাডেমির সঙ্গে কাজ করে আসছে।
BBS cable ad

কর্পোরেট এর আরও খবর: