শিরোনাম

South east bank ad

একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক চলচ্চিত্রের পথিকৃৎ অনন্ত জলিল

 প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   গার্মেন্টস/টেক্সটাইল

একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক চলচ্চিত্রের পথিকৃৎ অনন্ত জলিল

অনন্ত জলিল একজন একজন সফল ব্যবসায়ী, শিক্ষিতজন, মানবিক মানুষ, সর্বোপরি একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর সিআইপি। শতভাগ রফতানিমুখী তৈরি পোশাকের এই ব্যবসা নিয়ে দারুণ ব্যস্ত তিনি। পাশাপাশি চলছে চলচ্চিত্র নির্মাণ।

একবিংশ শতাব্দীর ঢাকার আধুনিক চলচ্চিত্রের পথিকৃৎ বলা হয় তাকে। নির্মাণে আধুনিকতা, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, বিদেশী চমকপ্রদ লোকেশনে শুটিং, সর্বোপরি সবচেয়ে বড় বাজেটের জোগানদাতা- সবকিছুতেই জড়িয়ে আছে অনন্ত জলিলের নাম।

এক জীবনে পেয়েছেন অভাবনীয় সফলতা। তার ডায়রির পাতায় ‘পরাজয়’ বলতে কোনো শব্দ নেই। চিত্রনায়ক ছাড়াও একটি টেলিকম কোম্পানির মডেল হয়ে দেশ কাঁপিয়েছেন অনন্ত। সেই বিজ্ঞাপনে অনন্তের একটি সংলাপ দর্শকদের মুখে মুখে। তা হল, ‘অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্তের কাজ’।

অনেক পরিশ্রম করে অনন্ত জলিল তার অবস্থানে পৌঁছেছেন। অনেকেই অনেক কিছু বলতে পারেন কিংবা ভাবতে পারেন। এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। অনন্ত জলিল একজন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী। পাশাপাশি একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সফল। তার এই সফলতার মূল চালিকাশক্তি তার সততা, ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম, নিয়মানুবর্তিতা, লক্ষ্য এবং সর্বোপরি কাজের প্রতি ডেডিকেশন।

এ বছর কুরবানীর ঈদের দিন মুক্তি পেয়েছে চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল ও চিত্রনায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষার ‘দিন দ্য ডে’। মুক্তির প্রথম দিন থেকেই দাপটের সঙ্গে চলছে ১২০ কোটি বাজেটের সিনেমা। সিনেমার প্রমোশনের জন্য দেশের বিভিন্ন হল পরিদর্শন করছেন এই দুই তারকা। ‘দিন দ্য ডে’ প্রত্যাশা পূরণ করেছে বলে জানিয়েছেন দেশের বড় বড় তারকা।

নিম্নে অনন্ত জলিল সম্পর্কে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হলো;

(১) অনন্ত জলিল মুন্সিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করলেও বেড়ে ওঠে ঢাকার শুক্রাবাদে।

(২) মাত্র পাঁচ বছর বয়সে এই অভিনেতার মা মারা যান এবং তখন থেকেই বাবা ও এক ভাইকে নিয়ে তার সংসার।

(৩) অনন্ত জলিল ঢাকার অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে ‘এ’এবং ‘ও’ লেভেল পাশ করার পাশাপাশি বিবিএ এবং পরবর্তীতে ম্যানচেস্টারের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিং বিষয়ে কোর্স করেন।

(৪) অনন্ত জলিল সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে ৩টি এতিমখানা করেছেন। মিরপুর ১০ নং , বাইতুল আমান হাউজিং ও সাভার মধুমতি মডেল টাউনে আছে এতিমখানাগুলো। এছাড়াও সাভারের হেমায়েতপুরের ধল্লা গ্রামে সাড়ে ২৮ বিঘার উপর একটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন অনন্ত জলিল।

(৫) এম এ জলিল অনন্তর পূর্ব পরিচয় হলো, তিনি একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। ১৯৯৯ সাল হতে তিনি এজেআই গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজারের পদে কাজ করে আসছেন। সাভারের হেমায়েতপুরে বিশাল জায়গা জুড়ে তিনি গড়ে তুলেছেন এজেআই গ্রুপ।

(৬) প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি কাজ তিনি নিজ হাতে তদারকি করেন। প্রতিটি পণ্য তিনি নিজে দেখেন এবং এর পরেই তা বাজারজাত করা হয়।

(৭) শ্রমিকদের সুবিধা অসুবিধা তাকে বুঝিয়ে বললে তিনি কখনই ফিরিয়ে দেন না তাদেরকে। ফ্যাক্টরির শ্রমিকদেরকে প্রতিদিন নাস্তার জন্য ২৫ টাকা করেও বরাদ্দ করে দিয়েছেন এই নায়ক। শুধু তাই নয়, রোগশোকে সবসময় শ্রমিকদের সহায়তা করে থাকেন তিনি।

(০৮) প্রথম সিনেমা “খোঁজ- দ্যা সার্চ” ‘হৃদয় ভাঙা ঢেউ’ এবং ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ পায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা।

(৯) ধারণা করা হয় এই তারকার ব্যক্তিগত জীবনের আলোকেই তৈরি করা হয়েছে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা সিনেমাটি।

(১০) স্ত্রী এবং সহ অভিনেত্রী বর্ষার হাতে রান্না করা পায়েশ খেতে খুবই ভালোবাসেন এই তারকা।

(১১) ব্যবসায়ী হলেও প্রকৃত জীবনে বেশ রোমান্টিক অনন্ত জলিল। একটি অনুষ্ঠানে সাবাইকে তাক লাগিয়ে বর্ষার উদ্দেশ্যে গানও করেন এই নায়ক।

(১২) ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত দয়ালু এই অভিনেতা। তার কাছে এসে কখনো কাউকে খালি হাতে ফিরে যেতে দেখা যায়নি। তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী এবং ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন।

(১৩) সুদর্শন এই হিরো লম্বায় ৫.৭ ফিট এবং ওজন ৭২ কেজি।

(১৪) আপাদমস্তক এই ব্যবসায়ী ২০০৮ সালে ঠিক করেন যে সিনেমা তৈরি করবেন এবং সেই লক্ষ্যেও নেমে যান। স্থাপন করেন মুনসুন ফিল্মস প্রোডাকশন।

BBS cable ad

গার্মেন্টস/টেক্সটাইল এর আরও খবর: