শিরোনাম

South east bank ad

একুশে বইমেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

 প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   বিশেষ সংবাদ

একুশে বইমেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ভাষার মাসের সবচেয়ে বড় কর্মযজ্ঞ অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ৩৮ মিনিটে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন তিনি।

এ সময় বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত সাতটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনসহ ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২২’ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। বাংলা একাডেমি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলে আমাদের সাহিত্যগুলো অনুবাদ করতে পারে। যাতে সারা বিশ্বের মানুষ আমাদের সাহিত্য পড়তে পারে। ভাষা, সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রেও আমরা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে পারি। আমাদের আধুনিক প্রযুক্তি অনুযায়ী চলা উচিত।’

শেখ হাসিনা বলেন, এখন আর কেউ বই হাতে নিয়ে পড়তে চায় না। ডিজিটাল ডিভাইসই এখন অনেকে ব্যবহার করছেন। তবে এটা ঠিক বইয়ের পাতা ধরে যে পড়ার আরাম, এটা ডিজিটাল ডিভাইসে নেই। এরপরও আমাদের সাহিত্য চর্চার বিষয়গুলো ডিজিটাল ভার্সনে করা দরকার। 

তিনি আরো বলেন, আজকে যে ভাষায় আমরা কথা বলছি, সেটা অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে এসেছে। আমাদের ভাষার অধিকার থেকেই আমাদের স্বাধীনতা। কাজেই আমাদের ভাষা সাহিত্যের উৎকর্ষ করতে হবে।  প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে শিশু সাহিত্যের ওপরও বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

বাংলা একাডেমির পরিচালক (প্রশাসন, মানবসম্পদ ও পরিকল্পনা বিভাগ) ড. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। তবে দর্শক ক্রেতা ও পাঠকরা রাত সাড়ে আটটার পরে মেলা প্রাঙ্গনে ঢুকতে পারবেন না। সরকারি ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং দুপুরে খাবার ও নামাজের জন্য এক ঘণ্টা বিরতি থাকবে।

এবারের মেলায় ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯০১টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি মাঠে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া এ বছর মোট ৩৮টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত বছর ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এছাড়া লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ১৫৩টি স্টল থাকবে, যা ২০২২ সালে ছিল ১২৭টি, ২০২১ সালে ১৪০টি এবং ২০২০ সালে ১৫৫টি। অন্যদিকে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বইমেলা ভেন্যু ও এর আশেপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে এবং মেলার ১১ লাখ বর্গফুট জায়গার প্রতিটি স্থান সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।

BBS cable ad

বিশেষ সংবাদ এর আরও খবর: