পুঁজিবাজার ঠিক করতে সংস্কার প্রয়োজন: মমিনুল ইসলাম
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) হিউম্যান রিসোর্স ও টেকনিক্যাল দক্ষতা বাড়াতে হবে জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেছেন, আমরা শিগগিরই সেটা করবো। ডিএসইর কিছু জায়গায় আমাদের স্বচ্ছতারও অভাব আছে। আমরা স্বচ্ছতা ফেরাতেও কাজ করবো। পুঁজিবাজার ঠিক করতে সংস্কার প্রয়োজন। আমরা সেদিকেও নজর দেব।
শনিবার রাজধানীর অভিজাত একটি ক্লাবে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজার: বর্তমান প্রেক্ষিত ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিকরা।
এছাড়াও আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ, বিএমবিএর সাবেক সভাপতি ছায়েদুর রহমানসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
মমিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও), ফান্ড ও বন্ড সম্পর্কিত কাজে কিছু সংস্কারের দরকার আছে। এ সংক্রান্ত সংস্কারে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও সরকারের সঙ্গে আমরা কাজ করার চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হিসাবে দেখার সুযোগ নেই। পুঁজিবাজার মুদ্রাবাজার অর্থনীতির সুন্দরতম সৃষ্টি। তবে আমরা আমাদের সৃষ্টিটাকে অসৃষ্টি তৈরি করে ফেলেছি। সেটা আমাদের সামগ্রিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকেরই একটা প্রতিচ্ছবি। দেশের মাঝে দুর্নীতি, বিচারহীনতা, অদক্ষতা এবং ভুল সিদ্ধান্ত সেই বিষয়গুলো পুঁজিবাজারে আছে। সেটারই ফলাফল আজকেই এই পরিস্থিতি।
মমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা বিচারহীনতার একটা সংস্কৃতি তৈরি করেছি। যার জন্য মার্কেটে কারসাজি কমেনি। এতে বিনিয়োগকারী, বাজার মধ্যস্থতাকারী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত ব্যাংক নির্ভরতা ব্যাংককে ধ্বংস করেছে, একইসঙ্গে আমাদের অর্থনীতিকে শেষ করেছে। এটা থেকে আমাদের বের হতে হবে।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ট্যাক্স সংক্রান্ত কিছু বিষয় আলোচনায় উঠে এসেছে। আমরা এনবিআরের সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করছি। যাতে এনবিআর বেশি ট্যাক্স পাবে, একইসঙ্গে বাজারের উন্নতিসাধন হবে। যা হবে মার্কেট ফ্রেন্ডলি।
ডিবিএ’র সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক ছিল। কেননা গত ১৫ বছররে আমরা নির্যাতিত বা নিগৃহীত। সাবেক এক অর্থমন্ত্রীর ফটকাবাজার ধারণা থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারকরা বের হয়ে আসছে বলে মনে হচ্ছে না। এটা বুঝতে হবে, পুঁজিবাজর অর্থনীতির ভিত্তি রচনা জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারকে সংস্কারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে হবে।
ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি গোলাম সামদানী ভূইয়া বলেন, বর্তমান কমিশন অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর- এমন দাবি ও প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু বিএসইসিতে অনেক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা রয়েছেন। এছাড়া কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে। যাদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়নি মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন। বরং ঐসব কর্মকর্তাদের পরামর্শে কাজ করছেন তিনি।