South east bank ad

ড. রফিকুল ইসলাম এর মৃত্যুকে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে একদিনের শোক

 প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মোঃ নজরুল ইসলাম, (ময়মনসিংহ) :

প্রখ্যাত নজরুল গবেষক ও ভাষা সৈনিক, বাংলা একাডেমির সভাপতি স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত জাতীয় অধ্যাপক এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি বরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. রফিকুল ইসলাম এর মৃত্যুকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীর শোকাহত।

বরেণ্য শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১লা ডিসেম্বর একদিনের শোক ঘোষণা করেছে।

রেজিস্ট্রার ড. মো. হুমায়ুন কবীর জানান, ড. রফিকুল ইসলাম এর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর গোটা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য, রেজিস্ট্রারসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ শোকে মূহ্যমান হয়ে যান। তার মৃত্যুতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার স্বাধীনতার মাসের প্রথম দিন ১লা ডিসেম্বর একদিনের শোক ঘোষণা করেছে। ক্যাম্পাসে সকাল ১০টার কালোব্যাজ ধারণের মাধ্যমে কর্মসূচির শুরু হবে। এছাড়াও ড. রফিকুল ইসলাম এর মুুত্যুরে শোক জানিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার টানানো হবে।

জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম এর মৃত্যুতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীর শোক দুঃখ প্রকাশ করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

এক শোকবার্তায় বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ড. মো. হুমায়ুন কবীর জানান, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম লেখক ও বিশিষ্ট নজরুল গবেষক। ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কীর্তিমান পুরুষ মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। মৃত্যুতে দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন কৃতি সূর্যসন্তানকে হারালো। আর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার একজন অভিভাবককে হারালো।

বিশিষ্ট নজরুল গবেষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক এবং নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পরিচালক। ৮৭ বছর বয়সী এই লেখক ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই সময়ের দুর্লভ কিছু আলোকচিত্রও তুলেছিলেন তিনি। বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের এই প্রত্যক্ষ সাক্ষী সেসব ইতিহাস গ্রন্থিত করেছেন তার লেখায়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে প্রথম গ্রন্থ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ইতিহাসের প্রথম গ্রন্থটিসহ প্রায় ৩০টি বই লেখা এবং সম্পাদনা করেছিলেন তিনি।

অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এর আগে একুশে পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। এছাড়া এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদকেও ভূষিত হয়েছিলেন তিনি।

তিনি একসময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তাছাড়া তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য। ২০১৮ সালে সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক ঘোষণা করে।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম (৮৭) মঙ্গলবার আনুমানিক দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: