South east bank ad

বিচারপতি টি এইচ খান আর নেই

 প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

হালুয়াঘাটের কৃতি সন্তান সাবেক বিচারপতি তোফাজ্জেল হোসেন খান ওরফে টি এইচ খান (১০৩) আর নেই। তিনি রবিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকাল পৌনে ৫টায় ঢাকা শ্যামলী স্পেশালাইজড হসপিটালে ইন্তিকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন।

ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার ঔটি গ্রামে ১৯২০ সনের ২১ অক্টোবর তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন ময়মনসিংহের ফুলপুর (বর্তমান সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়) হাইস্কুল থেকে। তার ইন্টারমিডিয়েট কমপ্লিট হয় আনন্দ মোহন কলেজ থেকে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি দর্শন শাস্ত্রে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আইন বিভাগে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন তিনি।

টি এইচ খান ১৯৬৮ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর ১৯৭৩ সালের জুলাই মাস থেকে আইন ব্যবসায় ফিরে আসেন। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথমবারের মতো সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর আইন, শিক্ষা, ধর্ম, ভূমি ও রাজস্ব এবং ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এরপর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদের নেতৃত্বে নতুন সামরিক আইন জারি করা হয়। তখন তিনি আইন পেশায় ফিরে যান।

১৯৮৬ সালে এরশাদের নির্বাচনে বিরোধিতা করার জন্য গ্রেফতার হন তিনি। বিচারপতি টি এইচ খান ১৯৯২ সালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে তিনি সুইজারল্যান্ডের জেনেভার জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস কমিশনের মেম্বার এবং একই বছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে বিচারপতি টি এইচ খান এশিয়া জোন থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তথা রুয়ান্ডা ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি নির্বাচিত হন।

১৯৯৯ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল পদে বিচারকার্য পরিচালনা করে দেশে ফিরে আসেন। আবার আইন পেশা শুরু করেন তিনি। আইন পেশা ছাড়াও প্রথম জীবনে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ, ঢাকার জগন্নাথ কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন ও আইন বিষয়ে অধ্যাপনা করেন টি এইচ খান। টি এইচ খানের স্ত্রী বেগম রওশন আরা জোবায়দা খানম। তিনি ৭৯ বছর বয়সে ২০১১ সনের ১৭ মে মারা যান।

তাদের তিন ছেলে সন্তান যথাক্রমে আফজাল এইচ খান, ফজলে এলাহী খান ও ফায়সাল এইচ খান। বড় ছেলে আফজাল এইচ খান (সাংবাদিক ও ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।) আর ফয়সাল এইচ খান আইন পেশায় নিযুক্ত আছেন। মেজো ছেলে ফজলে এলাহী খান চাকরি করছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। একমাত্র মেয়ে ডা. মাহমুদা ফাতেমা খান ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের চিকিৎসক। তার নামাজে জানাজা আজ সোমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: