South east bank ad

আত্মহত্যা সূচকে ২য় স্থানে জবি

 প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

২০২১ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে যা আত্মহত্যা সূচকে ২য় স্থানে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০২১ সালে ১০১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাদের মধ্যে ৬৫ জন ছাত্র, অর্থাৎ আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৪ দশমিক ৩৬ শতাংশই ছাত্র। ছাত্রীদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ছাত্র গত বছর আত্মহত্যা করেছেন। সম্পর্কের অবনতির কারণে ২৪.৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা।

আজ শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন। দেশের প্রায় ৫০টি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার আত্মহত্যার সংবাদ বিশ্লেষণ করে সংখ্যাটি পেয়েছে আঁচল ফাউন্ডেশন।

প্রতিবেদন থেকে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ জন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ জন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ জন। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষার্থী। মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের আত্মহত্যার হার বেড়েছে। যা ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সম্পর্কের অবনতিজনিত কারণে আত্মহত্যা করেন।

প্রতিবেদনে আত্মহত্যার কারণ গুলো হলো , সম্পর্কের কারণে আত্মহত্যার করেছেন ২৪.৭৫ শতাংশ, পারিবারিক সমস্যার জন্যে ১৯.৮০ শতাংশ, মানসিক যন্ত্রণা জন্যে ১৫.৮৪ শতাংশ, পড়াশোনা জন্যে আত্মহত্যা করেছেন ১০.৮৯ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং আর্থিক সমস্যার জন্যে আত্মহত্যা করেছেন ৪.৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।

গতবছর আত্মহত্যাকারীদের একটা বড় অংশই ছিল ছাত্র। সর্বমোট ৬৫ জন ছাত্র আত্মহত্যা করে যা মোট শিক্ষার্থীর ৬৪.৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ সংখ্যাটা ছিল ৩৬ জন বা ৩৫.৬৪ শতাংশ। করোনার মধ্যে সামাজিক, আর্থিক ও পারিবারিক চাপ বেড়ে যাওয়া ছাত্রদের আত্মহত্যার পেছনে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। অনার্স পড়ুয়া ৩য় এবং ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার তুলনামূলক বেশি যা ৩৬.৬৩ শতাংশ। ধারণা করা যায়, এ শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার কেন্দ্রিক সামাজিক চাপ বেশি থাকে এবং ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার কারণে তাদের মাঝে হতাশার ছাপ বেশি দেখা যায়।২২-২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে বেশি। সমন্বয়কৃত তথ্যগুলোর মধ্যে ৬০টি আত্মহত্যার ঘটনা এই বয়সসীমার শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা গিয়েছে, যা মোট ঘটনার ৫৯.৪১ শতাংশ।

আত্মহননের সংখ্যায় জবির শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থানের বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান এবং জবি শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডঃ নূর মোহাম্মদ বলেন, আত্মহত্যার যে প্রবণতা তা একদম শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব নয় তবে এমন মানসিক অবস্থাসম্পন্ন শিক্ষার্থীর জন্য তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজ নিজ ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও এখানকার শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যার বিষয়ে এখন সচেতন হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জানুয়ারির ৩ তারিখ থেকে করোনায় বন্ধের আগ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী কাউন্সিলিং সেন্টারে রেজিষ্ট্রেশন করেছেন এবং তার অর্ধেক সংখ্যক শিক্ষার্থী কাউন্সিলিং নিয়েছেন। এ সংখ্যাটি বেশ সন্তোষজনক।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: