South east bank ad

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনে আব্দুল হকের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

 প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

সাব্বির হোসেন সাইফুল, (মানিকগঞ্জ) :

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গোলড়া চরখন্ড গ্রামের মৃত আঃ মোন্নাফের পুত্র এমদাদুল হক ওরফে কোটিপতি আব্দুল হকের (৪৫) বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। আর এ বিষয়ে একই এলাকার মোঃ বাবুল হোসেন এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষর নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কোটিপতি আব্দুল হকের বিরুদ্ধে গোলড়া চরখন্ড এলাকায় তথ্যানুসন্ধানে গেলে এলাকাবাসী জানান, এমদাদুল হক কোটিপতি আব্দুল হক গোলড়া চরখন্ড মৌজায় পৈত্রিক সূত্রে মাত্র ১৮ শতাংশ জমি পেয়ে ভাইদের সাথে আলাদা হয়। তার অন্য ভাইয়েরা এখনো গরীব ও হতদরিদ্র অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। বিগতদিনে এমদাদুল হক ওরফে আব্দুল হকেরও খুবই কষ্টে দিন কেটেছে। কিন্তু কিছুদিন পূর্বে হঠাৎ করে অল্প সময়ের মধ্যে আব্দুল হক আলাউদ্দিনের যাদুর চেরাগের মত রাতারাতি তার উত্থান শুরু হয়।

সামপ্রতিককালে সে নানা দুর্নীতি, অনিয়ম ও অবৈধভাবে দু'হাত দিয়ে প্রচুর টাকা পয়সা রুজি করে এবং ওই অর্জিত অর্থের টাকায় খরিদকৃত অঢেল সহায়-সম্পত্তি ও বিত্ত ভৈববসহ এলাকায় বিশাল ধনাঢ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন।

তারা আরো বলেন, সে খুবই প্রভাবশালী, সুচতুর, লোভী ও ভয়ংকর ব্যক্তি। তার পরিবার পরিজনের নানা অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার গ্রামবাসী। ধন সম্পদ ও টাকার দাপটে এলাকার কাউকে মানুষ বলে মনে করে না। বলে জানান স্থানীয়রা। তার নানা জুলুম, অত্যাচার ও নির্যাতনের অতিষ্ঠে এখন গ্রামে অনেকেরই থাকা দায় হয়ে পরেছে।

স্থানীয়রা বলেন, তার টাকার দাপট, অপশক্তি ও ক্ষমতার সামনে ন্যায় ও সত্য কথা বলা তো দুরের কথা, কেউ মুখ খোলার সাহস পর্যন্ত পায় না। তার এত দাপট ও ক্ষমতা যে টাকার গরমে সে এলাকার শান্তি প্রিয় অনেক লোকজনদের নামে-বেনামে অযথা নানা মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে হেরাজ হয়রাণীসহ নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।

অভিযোগকারীগণ আরো বলেন, আব্দুল হক অল্প দিনের মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নে গোলড়া চরখন্ড মৌজায় ১৮টি দাগে ২৭৯ শতাংশ জমি খরিদ করে কোটিপতি নাম ধারণ করেছেন।

যার মূল্য কমপক্ষে ১৫/১৬ কোটি টাকা হবে। তিনি ৪টি বাড়ি নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন বলে তারা জানান। একই মৌজায় আরো ৫৪৭ দাগে ৪০ ডিসিমেল জমিতে বহুতলা বিশিষ্ট ভবণ নির্মাণ করার উদ্দেশ্যে ট্রাক ভর্তি মাটি এনে সেখানে দ্রুত মাটি ভরাটের কাজ করছে।

অভিযোগকারী, প্রতিবেশী ও গ্রামবাসীরা আরো বলেন, এমদাদুল হক ওরফে আব্দল হক হঠাৎ কি করে কিভাবে এত টাকা পয়সা কামাই করে এত বিশাল সহায় সম্পত্তির মালিক হল? তার অর্জিত এত অর্থের উৎস কোথায়? প্রতিবেশী, উৎসুক জনতা ও লাকাবাসী তা জানতে চায়!

এ বিষয়ে অভিযুক্ত এমদাদুল হক ওরফে কোটিপতি আব্দুল হক জানান, দরখাস্তে উল্লেখিত জমিগুলি পৈত্রিক সূত্রে মালিক হয়ে ভোগ দখলে আছেন বলে সে দাবী করলেও পৈত্রিক সূত্রের আরএস রেকর্ডের খতিয়ানের কোন পর্চা দেখাতে পারেননি তিনি।

দুদক অফিসে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগগুলি মিথ্যা বলে দাবী করেন তিনি। তার নির্মিত বাসা-বাড়ির সংখ্যা কয়টি জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন ২টি। এসময়ে উপস্থিত লোকজন তার ৪টি বাড়ি আছে এ কথা বললে আব্দুল হক ও তার ভাগ্নেসহ উপস্থিত লোকজনদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও ক্রোধে রাগান্তিত হয়ে তাদের উপর চড়াও হয়।

তার জমির কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে ৪/৫ দিনের সময় নেন। কিন্তু সেই সময় পার হয়ে গেলেও তার জমির কাগজপত্র নিয়ে তিনি আর আসেননি কিংবা ফোন রিসিভ করেননি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: