South east bank ad

করোনায় দর্শনার্থী শূন্য দেশের একমাত্র বরগুনার বঙ্গবন্ধু নৌকা যাদুঘর

 প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা) :

বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থাপন হওয়া বরগুনার বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘরটি দর্শনার্থী শূন্য। করোনার ক্রান্তিলগ্ন থেকে এ জাদুঘরটি দর্শনার্থী ছাড়াই রয়েছে। করোনা শেষে অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে সব কিছু খুলে দেয়া হলেও মানুষ আগের থেকে পর্যটন ও সৌন্দর্য বর্ধন জায়গাগুলোতে ভ্রমণ থেকে বিরত রয়েছেন।

বাঙালী জাতির গর্বিত পিতা ও বিশ্ব স্বীকৃত মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে এমন ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছিলেন বরগুনা জেলা প্রশাসন।

গত ২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৩ টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখে উকিল বার লাইব্রেরি সংলগ্ন পূর্ব প্বার্শে পরিত্যাক্ত পৌর পাঠাগারের স্থলেই নৌকার আদলে তৈরি করা বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘরটির উদ্বোধন করেন এর স্বপ্নদ্রষ্টা ও জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ্।

নৌকা জাদুঘরটিতে স্থান পেয়েছে দেশের হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন অঞ্চলের কাঠ দিয়ে তৈরি করা একশ নৌকার ডামি।

এ নৌকা জাদুঘরটি মুজিব শতবর্ষে এক চমকপ্রদ ও ভিন্নধর্মী উপহার পেয়েছে বরগুনাবাসী। হারিয়ে যাওয়া অঞ্চলভিত্তিক একশ ধরণের নৌকা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর। বরগুনার এ নৌকা জাদুঘরটি হবে নৌকা গবেষণাগার। যেখান থেকে তৈরি হবে নতুন প্রজন্মের হাত ধরে নতুন কোন এক অন্যন্য উদ্ভাবনী সৃষ্টি।

জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ তার ব্যাতিক্রমী চিন্তাকে কাজে লাগিয়ে এমন এক হারানো পাল তোলা ও সেকালের একমাত্র বাহন হিসেবে ব্যবহৃত নৌকার ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে এনেছেন নতুন ও তরুণ প্রজন্মের সামনে। সর্বদক্ষিণের এ বরগুনা জেলাকে চিনবে অন্য এক নতুন ধারায়। এখানকার ইকোট্যুরিজমগুলো ভ্রমণপিপাসুদের জন্য হয়ে উঠবে আরও মনোরঞ্জন।

৮১ দিনে তৈরি করা মুজিব নৌকা জাদুঘরে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া নদীতে বহমান হারিয়ে যাওয়া নৌকা বরগুনায় তৈরি হওয়া বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘরে স্থান পেয়েছে।

এটি ১৬৫ ফুট দৈর্ঘ্য ৩০ ফুট প্রস্থের নৌকার আদলে নৌকা যাদুঘর নির্মান করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধে বাহন হিসেবে নৌকাকে ব্যবহার করত। নতুন প্রজন্মকে নৌকার ইতিহাস জানতে ও গবেষণা করতে সহায়তা করবে দেশের প্রথম স্থাপিত এ নৌকা জাদুঘরটি।

বরগুনা জেলায় অবস্থিত ইকোট্যুরিজমকে আরও প্রসার ও সৌন্দর্যবর্ধন করতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকে অম্লান রাখতে এমন ভিন্নধর্মী উদ্যোগ হাতে নিয়েছিলেন। যা আজ সৃষ্টিরুপে দেখছে বরগুনা তথা দেশের মানুষ।

দেশের সকল জঞ্জাল সরিয়ে আবারো ফিরে আসবে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ। যেখানে থাকবে হাসি-খুশির প্রাণবন্ত সজিবতা। কানায় কানায় পূর্ণ হবে দক্ষিণ জনপদের উপকূলীয় এলাকা বরগুনা জেলার ইকো ট্যুরিজম। মনের আলিঙ্গন দিয়ে প্রকৃতি ও ইতিহাসে বিচরণ করবে দেশের সকল মানুষ, এমনটাই মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আশা করছেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: