নিখোঁজের ২২ বছর পর ফিরলেন ছালেহা
শামীম আলম, (জামালপুর) :
জামালপুরের সরিষাবাড়ি থেকে নিখোঁজের ২২ বছর পর ছালেহা বেগম নামে সত্তরোর্ধ এক বৃদ্ধাকে মুন্সিগঞ্জের কাটাখালি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মানসিক ভারসাম্যহীন ছালেহাকে উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দীর্ঘ ২২ বছর পর ছালেহা বেগমকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত স্বজনরা। ২৬ বছর আগে সরিষাবাড়ীর রসুল মিয়ার সঙ্গে উপজেলার চর বাঙ্গালীপাড়া গ্রামের মৃত বেলায়েত রাজের মেয়ে ছালেহা বেগমের তৃতীয় বিয়ে হয়। এর আগে আরও দুইবার বিয়ে হয়েছিল ছালেহার, দ্বিতীয় বিয়ের পর মানসিক ভারসাম্য হারাতে থাকে ছালেহা। তৃতীয় বিয়ের চার বছর পর ১৯৯৯ সালে মানসিক ভারসাম্যহীন ছালেহা স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তার সন্ধান
না পেয়ে তাকে ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দেয় উভয় পরিবার। পালিয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন যায়গায় অবস্থান করেন তিনি।
দশ বছর আগে মুন্সিগঞ্জের কাটাখালী গ্রামের রাস্তায় ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছালেহা বেগমকে ঘুরতে দেখেন আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন। তাকে উদ্ধার করে তিনি বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর গত ১০ বছর ধরে মুন্সিগঞ্জ শহরের কাটাখালী এলাকার আইনজীবী দেলোয়ার হোসেনের বাসায় থাকেন তিনি। মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় স্মৃতিশক্তি না থাকায় ঠিকানা বলতে পারতেন না ছালেহা। গত ২৭ সেপ্টেম্বর স্মৃতি ফিরে পেয়ে নিজের ঠিকানা বলেন নিখোঁজ ছালেহা।
বিষয়টি আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন সরিষাবাড়ী থানায় অবহিত করলে পুলিশ ছালেহা বেগমের স্বজনদের খুজে বের করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ছালেহা বেগমের বড় ভাই শামসুল হক রাজের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। ছালেহাকে ফিরে পেয়ে তার পরিবার, স্বজন ও প্রতিবেশীরা বেশ আনন্দিত।
সরিষাবাড়ী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত), মো: আব্দুল মজিদ জানান, কিছুদিন আগে মুন্সিগঞ্জ শহরের কাটাখালি এলাকার আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন যোগযোগ করেন। ছালেহা বেগমের পিতার নাম ও আংশিক ঠিকানা বলার পর পরিবারের লোকজনকে শনাক্ত করে পুলিশ। এরপর সালেহাকে উদ্ধারের পর মায়ের মর্যাদা দিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা
হয়েছে।