South east bank ad

শামছুন্নাহারকে পুনরায় চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় দেওরগাছ ইউনিয়নবাসী

 প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

নুর উদ্দিন সুমন, (হবিগঞ্জ) :

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আবু তাহের মিয়ার সহধর্মিণী দেওরগাছ ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বর্তমান হবিগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামিলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামিলীগের সিনিয়র সহ- সভাপতি নারী নেত্রী শামছুন্নাহার চৌধুরীকে ৩ নং দেওরগাছ ইউনিয়নে পুনরায় নৌকা মার্কা প্রতীকে পেতে চান ইউনিয়ন বাসী।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ১৯৮৮ সালে প্রথম চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান বলে তিনি জানান । ছাত্র জীবন থেকেই তিনি রাজনীতিতে জড়িত হন। ১৯৯২ সালে তিনি হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৭ সাল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তার নিজের নামে প্রতিষ্ঠা করেন চামলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চান্দপুর তাহের শামছুন্নাহার উচ্চ বিদ্যালয়, কাচুয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় । এছাড়াও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ চুনারুঘাট ডিসিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ বছর পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ বছর সভাপতি, কাচুয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সহ- সভাপতি, চান্দ পুর তাহের শামছুন্নাহার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং নিসর্গ নেটওয়ার্ক সিলেট অঞ্চলের টাঙ্গাইল মধুরপুরের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করছেন নারী উন্নয়নে।

স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন এই স্বল্প সময়ে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন সহ নানা কর্মকাণ্ডে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়াও তার স্বামী মো: তাহের মিয়ার আদর্শ অনুসর করে এলাকাবাসীর যে কোন বিপদ-আপদে সবসময় সহযোগীতা করে আসছেন। আর এই অল্প কিছু দিনের মধ্যে স্থানীয় গণমাণুষের হৃদয়ের মাঝে আস্থা অর্জন করে নিয়েছেন। স্বামীর মত বঙ্গবন্ধুর আর্দশ অনুসরণ করে সব সময় চলায় সচেষ্ট তিনি।

উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নেরও তার স্বামীর বেশ সুনাম রয়েছে এবং সেই হিসেবে এলাকার জনসাধারণ দলমত নির্বিশেষে পুনরায় শামছুন্নাহার ‘কে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়।

এই বিষয় তার সাথে কথা বললে জানা যায়, আমি সব সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ অনুসরণ করে ১৯৮৮ সাল থেকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছি। এখনও মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। মানুষকে নিয়েই আমার কাজ। বিশেষ করে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের নিয়ে আমি কাজ করে যাচ্ছি।

যদি দল আমাকে পুনরায় মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি অবশ্যই জনগণকে সাথে নিয়ে বিপুল ভোটে আবারো নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়নবাসির খেদমত করার সুযোগ পাব। তিনি আরও বলেন, শিক্ষা বিস্তার সহ সকলের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণের মাধ্যমে দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদকে একটি মডেল ইউনিয়নে উন্নীত করে সরকারের উন্নয়ন কাজ জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে দেব ইনশাআল্লাহ। ভাল কাজ করে সবার হৃদয়ে ভালবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। সর্বপরি তিনি দেওরগাছ ইউনিয়নের সকলের কাছে দোয়া ও আন্তরিক সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: