South east bank ad

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ৩৮ দিন

 প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

কায়সার সামির, (মুন্সীগঞ্জ) :

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুর বাংলাবাজার রুটে ৩৮ দিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। | দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ ভােলার নানুষের রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যাতায়াতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। প্রবল স্রোতের কারণ দেখিয়ে বিআইডব্লিউটিসি গত ১৮ আগস্ট থেকে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এখন পদ্মার পানি হ্রাস এবং স্রোতের তীব্রতা কমলেও | ফেরি চালু না করায় এই রুটে যাতায়াত কারীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ তাম্বুল ইসলাম জানিয়েছেন, দ্রুত ফেরি চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিমুলিয়া নায়িকান্দি নৌরুটে অনেক ডুবোচর থাকায় সচল করা যায়নি। তবে পদ্মার স্রোত কিছুটা কমে আসার আবার পুরনো শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুট সচল করা হবে। সে লক্ষ্যে আজ শনিবার সংশ্লিষ্ট সকল দফতরের কর্মকর্তাদের রুট পরিদর্শনে যাবার কথা রয়েছে। যে সব পিলারের | নিচ দিয়ে ফেরি চলাচল করবে তা নির্ধারণ করা হবে। এরপর ফেরি সচল করার দিনক্ষণ ঠিক করা হবে বলে তিনি জানান। পানি কমে যাওয়ায় এবং দীর্ঘদিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় শিমুলিয়ায় ৪টি ফেরি ঘাটের পন্টুন সামনের অংশে বালু ভানে নাব্যতার অভাব হয়েছে। তাই পদ্মা নদীতে ভাসমান ভ্যাকু দিয়ে বালু সরিয়ে নব্যতা এবং ড্রেজিং করে পানির গভীরতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এদিকে বৃহস্পতিবার মেরামতের পর ৩ নম্বর ঘাটে নোঙ্গর করা হয়েছে রো রো ফেরি শাহ নবদুন এবং ফেরি শাহজালাল। এই দুটি ফেরি পদ্মা সেতুর খুঁটিতে ধাক্কা দিয়ে তলা ফাটে। পরে মেরামতের ভান্য নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়। ফেরি দুটি এখন ঢলাঢলি পুরোপুরি সক্ষম বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাই শিমুলিয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে।

এছাড়া এই ঘাটে ভাস্প ফেরিগুলো নোঙ্গর করা রাখা হয়েছে। এই ঘাটে ফেরি কর্ণফুলী নােঙ্গম করা ঘয়েছে। আয় বাংলাবাজার ঘাটে ফেরি ক্যামেলিয়া এবং কুমিল্লা নােঙর আছে। সবগুলো ফেরি অলস বসে আছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুট বাহমে ১৮টি কেমির মধ্যে ১১টি ফেরি রয়েছে এখন। বাকী ফেরিগুলো অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। তবে এই রুট ঢালু হলে অন্য ফেরিগুলো নহরে যুক্ত করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এদিকে পরা সেতু এড়িয়ে বাংলাবাজার ঘাটের পরিবর্তে শরিয়তপুরের নাকিরকান্দি ঘাট স্থাপন করা গত ২৬ আগস্ট। কিন্তু চ্যানেলে নায্যের অঙ্গনে শিমুলিয়ানাকিরকান্দি রুটের অভিষেক হয়নি। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে ড্রেজিং করে এই রুটে চালু করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দিনের বেলায় লঞ্চে পদ্মা পাড়ি দিলেও রাতে ভারি প্রয়োজন পদ্মা পারি দেয়া যাচ্ছে না। অনেকে আবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বড় ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি নাওয়াস্থ সহ-মহাব্যবস্থাপক আহাম্মদ আলী শুমার রাতে বলেন, স্রোত এখনও কমেনি তাই ফেরি চালু করা যাচ্ছে না। গত ১৮ আগস্ট ফেরি বন্ধের সময় স্রোতের গতি ছিল ঘন্টায় ৮ দশমিক ৮ কিলােমিটার। তিনি দাবি করেন-পরে এটি আরও বৃদ্ধি পায়। এই গতি ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে। তবে এখন কমে ৮ এ নেমে এসেছে। তবে ফেরি চলার জন্য স্রোতের গতি আর কনতে হবে। আর পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, শুক্রর সেতু এলাকায় প্রতি ঘন্টায় সর্বনিম্ন গতি ছিল ৬ দশমিক ৪১ কিলােমিটার। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার ৭ থেকে ৮ নম্বর খুঁটিতে স্রোতের গতি ছিল ঘন্টায় ৭.৩৪ কিলোমিটার, ৮ থেকে ৯ নম্বর খুঁটিতে স্রোতের এই গতি হিল ৭.৫৬ কিলোমিটার, ১০ থেকে ১১ নম্বর খুঁটিতে স্রোতের এই গতি ৭.৪৯ কিলোমিটার, ১১ থেকে ১২ নম্বর খুঁটিতে স্রোতে এই গতি হিল ৮,৩৯ কিলোমিটার, ১৩ থেকে ১৪ নম্বর খুঁটিতে স্রোতের এই গতি ৬.৮৪ কিলোমিটার, ১৫ থেকে ১৬ নম্বৰ বঁটিতে স্রোতের গতি হিল আরও কম ৬.৪১ কিলোমিটার, ১৭ থেকে ১৮ নম্বর খুঁটিতে স্রোতের গতি আরও কনে ৫.৯৪ কিলোমিটার, ১৯ থেকে ২০ নবম বুটিতে স্রোতের এই গতি হিল ৭.২৪ কিলোমিটার, ২১ থেকে ২২ নম্বর খুঁটিতে এতে এই গতি হিল ৭.৭৪ কিলোমিটার, ২৩ থেকে ২৪ নম বুটিতে স্রোতে এই গতি ৭.২৭ কিলোমিটার এবং ২৪ থেকে ২৫ নম ঝুঁটিতে স্রোতের এই গতি প্রতি ঘন্টায় ৭.৪২ কিলােমিটার। বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান সৈয়দ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২৪ থেকে ২৫ নম্বর খুঁটির নিচ দিয়ে নতুন চ্যানেল বের হয়েছে। ঢর ভেঙ্গে এই চ্যানেল সৃষ্টি হয়। আগের বছর এই চ্যানেলে ফেরি চলাচল কতাে। পর্যবেক্ষক টিন এই চ্যানেলটি বেশী গুরুত্ব দিবে বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে বিআইডব্লিউটিসি পরিচালক (বাণিজ্য) এস এম আশিকুজ্জামান চলতি মাসেই ফেরি চলাচল আবার শুরু হবে বলে আশা করেছেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: