South east bank ad

সমুদ্রসীমায় ভারতীয় ট্রলার অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সরকারের প্রতি মৎস্যজীবীদের দাবি

 প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা) :

মা ইলিশ রক্ষায় আজ রাত ১২ টা থেকে শুরু হচ্ছে ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা। ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন বঙ্গোপসাগর ও নদ-নদীতে ইলিশ আহরণে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।

এই সময়ে ইলিশ আহরণ, বিপণন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য বিভাগ।

ইতোমধ্যে সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে জেলেরা তাদের ট্রলার নিয়ে উপকূলে ফিরে এসেছেন। ইলিশের এই প্রজনন মৌসুমে সমুদ্রসীমায় ভারতীয় ট্রলার যাতে ইলিশ ধরতে না পারে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা।

জানা গেছে- প্রতিবছর অক্টোবর মাসের এ সময় গভীর সাগর থেকে ঝাঁকে-ঝাঁকে মা ইলিশ উপকূলের দিকে এসে ডিম ছাড়ে। ইলিশের ডিম থেকে জাটকা এবং পরে জাটকা বড় ইলিশে পরিণত হয়।

মৎস্য অধিদপ্তর জানায়, ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এ মৌসুমে ৬০ শতাংশের বেশি মা ইলিশ ডিম ছাড়ে। প্রজনন নিরাপদ করতে এই নিষেধাজ্ঞা শুরুর মধ্যদিয়ে এবছর রুপালি ইলিশের ভরা মৌসুম শেষ হবে। ইলিশের নিরাপদ প্রজনননের জন্য ৪ অক্টোবরের আগে সাগর ও মোহনায় মাছ ধরায় নিয়োজিত সব নৌযান ও জেলেকে নিজ নিজ ঘাটে ফিরে আসতে বলা
হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলেরা নদীতে নামলে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হবে। উপকূলীয় বরগুনায় প্রায় ৫০হাজার জেলে রয়েছে। এর মধ্য ৩৭ হাজার ৭৪ জন নিবন্ধিত জেলে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ক্ষতিপূরণ হিসেবে নিবন্ধিত জেলেদের ২০ কেজি করে চাল দেয়া হবে।

দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটায় দেখা গেছে- সাগরে ইলিশ ধরতে যাওয়া উপকূলের প্রায় সব এলাকার জেলেরা তাদের ট্রলার নিয়ে ঘাটে এসেছে। যারা এখোনো আসেনি তারাও সাগর থেকে ঘাটের উদ্দেশ্যে ফিরছেন। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে নোঙ্গার করে আছে জেলেদের কয়েক শতাধিক ট্রলার।

বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন- বাংলাদেশের জেলেরা আইন মেনে মাছ শিকার বন্ধ রাখলেও ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশ জল সীমায় এসে মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে। এ গুলো বন্ধ করতে সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান- মা ইলিশ যাতে নিরাপদে ডিম ছাড়তে পারে সে জন্য (৪ থেকে ২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত সাগর ও নদীতে ইলিশ ধরা, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এই আইন বাস্তবায়নে মৎস অধিদপ্তর, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং স্থানীয় মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে ব্যাপকভাবে
অভিযান পরিচালনা করা হবে। টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। জেলায় ৭জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চলবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষে ও জেলেদের উপকারের স্বার্থেই সরকারের এ আইন। আইন বাস্তবায়নের লক্ষেই জেলেদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এই আইন অমান্যকারীদের এক বছর হতে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদন্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: