South east bank ad

সিংগাইরে নির্মাণের ৩ বছরেই গাজীখালী নদীর সেতু বিলীন

 প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

সাব্বির হোসেন সাইফুল, (মানিকগঞ্জ) :

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের কলাবাগান মাজার সংলগ্ন গাজীখালী নদীর ওপর অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত সেতুটি উদ্বোধনের ৩ বছর পরেই ভেঙ্গে যাওয়ায় সিংগাইর ও পার্শ্ববর্তী ঢাকা, ধামরাই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দু'উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রামের যোগাযোগ ব‍্যবস্থা।

জানাগেছে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে গাজীখালী নদীর উপর ৪০ মিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৫৭ লক্ষ টাকা। নির্মাণ শেষে ২০১৭ সালের ১২ মে সেতুটি স্থানীয় সাংসদের উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার দেখা যায়, গাজীখালী নদীর দুই পারের দৈর্ঘ‍্য অপেক্ষা সেতুটি নির্মাণ করা হয় ছোট করে। এতে ২০২০ সালের বন্যায় পূর্বপাশের কলাবাগান মাজার সংলগ্ন সেতুর গোড়ার মাটি ধ্বসে পুরোটা নদীতে ভেঙ্গে পড়ে। আজ-অব্দি কর্তৃপক্ষ বিকল্প নির্মাণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বর্ষা মৌসুমে সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর, ইরতা, নতুন ইরতা, কাংশা ও পার্শ্ববর্তী ধামরাই উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রামের লোকজন, ছাত্র-ছাত্রী, অসুস্থ রোগী এবং কৃষির উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে চরম ভোগান্তির শিকার। যানবাহনে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে সিংগাইর সদর হয়ে ঢাকা মানিকগঞ্জে যেতে হয়, ফলে সময় ও আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হতে হয় তাদের ।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সেতুটি ৪০ মিটারের পরিবর্তে ৬০ মিটার লম্বা নির্মাণ করলে এমনটা হতো না। নির্মাণ ত্রুটি ও কর্তৃপক্ষের অনিয়ম এবং পরিকল্পনায় ভুলের কারণে সরকারের অর্ধকোটি টাকার প্রকল্প নদীতে ডুবেগেছে।

স্থানীয় সাইদুর রহমান বলেন, দুই উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

কলাবাগান এলাকার মকবুল হোসেন বলেন, এখানে জররী ভিত্তিতে একটি সেতুটি নির্মাণ করা দরকার। খড়ারচর এলাকার হাসানুজ্জামান বলেন, প্রথমেই সঠিক পরিকল্পনা করে সেতুটি নির্মাণ করলে এটি ভাঙ্গতো না। কাংশা গ্রামের মো. বকুল বলেন, সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এই এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চরম সমস্যা হচ্ছে।

তালেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. রমজান আলী বলেন, নদীর দুই পারের দৈর্ঘ অপেক্ষা সেতুটি ছোট করে নির্মাণ করা হয়েছে। তাই বন্যায় নদীর স্রোতে ধ্বশে গেছে। এতে দুই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলা প্রকৌশলী মো. রুবাইয়াত জামান বলেন, গাজীখালী নদীর ওপর ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সয়েল টেস্ট করে দরপত্র আহ্বান করা হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: