South east bank ad

স্বামীর সন্ধান ও সু-চিকিৎসার জন্য সংবাদ সম্মেলন

 প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

সুনান বিন মাহাবুব, (পটুয়াখালী) :

নিখোঁজ পুলিশ কর্মকর্তার সন্ধান ও তার সুচিকিৎসার দাবিতে পটুয়াখালীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী মোসাঃ নাজমা সুলতানা। ওই পুলিশ কর্মকর্তা নিখোঁজ থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে তার দুই সন্তানের পড়া-লেখা।

শনিবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়েজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার স্বামী মোঃ আনোয়ার হোসেন কুমিল্লা জেলা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় গত ২৬ আগস্ট থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। এ বিষয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর বরিশাল কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়। ডায়েরি নং-৬৫৯/২১। এর আগে আনোয়ার হোসেন বরিশাল মেট্রপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানায় কর্মরত অবস্থায় গত ২৭/০৫/২০২০ তারিখে করোনা আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হন। করোনা মুক্ত হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। তখন তিনি বরিশাল মেট্রপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিনের কাছে থানার পরিবর্তে পুলিশ লাইন কিংবা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে বদলীর আবেদন করেন। সর্বশেষ গত ১/১/২০২১ তারিখে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে মেসেজ করার অপরাধে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ কমিশনার তাকে বরিশাল থেকে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় বদলী করেন। পরে আনোয়ার হোসেন পুলিশ কমিশনারের কাছে শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কথা বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানাতে গেলে তার বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা করা হয়। পরিবারের প্রয়োজনে অসুস্থ থাকা অবস্থায়ই রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি থানায় কিছুদিন চাকুরী করার পর তার হার্টের ব্লক, চোখে কম দেখা, কথা বললে মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা, ফুসঢুসে সমস্যা, কিডনিতে সমস্যা, পাইলসের সমস্যাসহ শারীরিকভাবে খুবই দুর্বলতাসহ বাম হাত পায়ে শক্তিহীন হয়ে পরে। চিকিৎসার জন্য আনোয়ার হোসেন কর্মস্থলে না থাকায় সুস্থ্য হবার পরে তাকে বেতন ভাতা পরিশোধ না করেই আরেকটি বিভাগীয় মামলা দিয়ে গত ১৭/৮/২০২১ তারিখ কুমিল্লা জেলায় বদলী করা হয়। এতে তিনি মানসিক ভারসম্য হারিয়ে ফেলেন এবং গত ২৬ অগস্ট থেকে নিখোঁজ হন। এ অবস্থায় তার খোঁজ এবং চিকিৎসার ব্যাবস্থা না করেই বিভাগীয় মামলা চালানো হচ্ছে। প্রধান মন্ত্রীর নিকট এর প্রতিকার ও তার স্বামীর চিকিৎসার দাবী জানায় নাজমা সুলতানা। অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তার আত্নীয় মোঃ মনির হোসেন, মৌসুমি আক্রান্ত, মোঃ বায়োজীদ, সোহাগ সিকদার ও পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক।

রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন বলেন, মোঃ আনোয়ার হোসেন রাঙ্গামাটি আসার পরে আমাকে জানায় সে অসুস্থ। এতে আমি তাকে সহানুভূতি দেখিয়ে তার কথা মতোই (বাঘাইছড়ি) থানায় পোস্টিং দিয়েছি । তাকে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে । যেহেতু অসুস্থ প্রতিনিয়ত আমি খোঁজ খবর নিতাম । এতে সে ফেইসবুকে আমার অনেক প্রসংশা করে বেড়াতে। কিছুদিন পরে তার অনুমতি নিয়ে একটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হলো। মামলার কোন কাজ করেনি সে। তাকে ডিপার্টমেন্টেও কোন কাজে পাওয়া যাইতে না। ডিউটির সময় ডিউটিতে পাওয়া যায় না, কারো সাথে সহযোগীতা করেনা। অফিসে আসতো না ওসি খবর পাঠালে বলতে শরীর ভালোনা, বুকে ও কোমরে বাথা। এতে ওসি প্রতিনিয়ত আমার কাছে অভিযোগ করতো। সে যদি অসুস্থ হয়ে থাকে চিকিৎসা নেয়ার কথা। সারাদিন শুয়ে থাকলে তো রোগ ভালো হতো না। কেউ কিছু বললে আত্মহত্যার হুমকি দিতো সে। চিকিৎসা নিতে পাঠিয়েছি কুমিল্লা সে গেছে আর আর আসেনা, পরে আমি তাকে আনতে গাড়ি পাঠিয়েছি কিন্তু সে আসেনি।

তিনি আরও বলেন, একদিন ডাকলাম এসে বলে আমার হার্টের সমস্যা রিং পরাতে হবে আমি তাকে এক মাসের ছুটি নিয়ে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার জন্য বললাম। কিন্তু সে ২০ দিনের ছুটি নিয়েছে। এতে আমি (ওসির) সাথে রাগ করেছি এক মাসের ছুটি দিলে না কেন? । ওসি জানায় সে ২০ দিনের নিয়েছে। ছুটি নিয়ে সে চিকিৎসা নিতে না গিয়ে তাবলীগে গেছে। সে জানিয়েছে রাঙ্গামাটি এসে চাকরি করবে না, আমরা অনেক বুঝিয়েছি কিন্তু সে কারো কথার গুরুত্ব দেয়নি । তার উপরে কোন জুলুম করা হয়নি। এসব বিষয়ে তাকে শোকজ করা হয়েছে কিন্তু সে কোন জবাব দেয়নি, পাঁচ বার চিঠি দেয়া হয়েছে। সে চিঠির উত্তর না দিয়ে ফেইসবুকে আজেবাজে কথা লিখতে। এরপরে সে নিখোঁজ হয়ে গেছে পরে রমনা থানার ওসির মাধ্যমে একটি মসজিদ থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে ওখান থাকে পালিয়ে যায় ।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: