South east bank ad

শেরপুরে অতিথিদের সাথে পিঠা উৎসব পালন করতে পেয়ে আনন্দিত এতিম শিশুরা

 প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

শেখ সাঈদ আহম্মেদ সাবাব, (শেরপুর):

শেরপুরের সরকারী শিশু পরিবার (বালিকা) আয়োজন করা হলো ব্যতিক্রমী পিঠা উৎসবের। এক ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয় গত (২ মার্চ) রাতে।

আর সেখানে জেলা প্রশাসক মো: মোনিনুর রশীদ, পুলিশ সুপার হাছান নাহিদ চৌধরী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ জেড এমস মোর্শেদসহ দাওয়াত করা হয় জেলার শীর্ষকর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিশিষ্ট জনদের।

আর এ উৎসবকে প্রানবন্ত করে তুলতে নাচে ও গানের মাধমে দৃষ্টি নন্দন অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে তুলে শেরপুর জেলা সদরে অবস্থিত সরকারী শিশু পরিবার (বালিকা)’র শিশুরা।

এ আয়োজন দেখে উপস্থিত শেরপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা মুগ্ধ হয়ে যান। বড়্ বড় অতিথিদের সাথে পিঠা উৎসবের পিঠা খেতে পেরে খুশি এখানকার এতিম শিশুরাও। তারা এখন আর নিজেদেরকে অসহায় ভাবে না।

এ উৎসবে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ভাপা পিঠা, চিতই, গোটা পিঠা, লাভ পিঠা, মুয়া পিঠা, দুধ চিতই, পাটিসাপটা, নারকেল পুলি, দুধ পুলি, পুডিং, পায়েস, কেয়া, মাধবীলতাসহ ৩৩ রকমের বাহারি নামের পিঠা খাওয়ানো ও প্রদর্শিত হয়। এসব পিঠা তৈরী করা হয় এই শিশু পরিবারেই। এতে খুশি এখানকার উপতত্বাবধায়কসহ কর্মকর্তরাও।

এ অনুষ্ঠানে কথা হয় এতিম শিশুদের সাথে। তারা জানায় এখানে তাদের বাবা মার মতো আদর স্নেহ দিয়ে বড় করা হচ্ছে। যার উদাহরণ আজকের এই পিঠা উৎসব।

শিশু পরিবারে শিশু রুনা আক্তার বলেন, আমি এখানে থাকি। আমি দশম শ্রেণীর একজন ছাত্রী। এখানে আমরা অনেক ভালো আছি। আজকে আমাদের এখানে পিঠা উৎসব হলো। খুব ভালো লাগছে আজকে। আমরা অনেক পিঠার নাম জানতাম না। আজকে নাম নাা জানা পিঠা গুলো খেলাম এবং পিঠাগুলোর সাথে পরিচিত হলাম।

শিশু পরিবারে শিশু মোছা: সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ছোট থেকেই বাবা হারিয়ে সরকারের সুযোগ সুবিধা নিয়ে এখানে ছোট থেকে বড় হয়েছি। এখানে থাকায় বাবার অভাব কখনো বোধ করি নাই। আজ আমাদের পিঠা উৎসব। আজ আমাদের এখানে অনেক বড় লোক আসছে। এতে আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা সবার সাথে পিঠা খেতে পারছি।

এসব পিঠা খেয়ে ও উৎসব মুখর পরিবেশ দেখে খুশি জনপ্রতিনিধি ও কমকর্তারা। তারা জানান, এ শিশু পরিবারের শিশুরা সব কাজেই বেশ দক্ষ। ইতিমধ্যেই তারা সংস্কৃতি, খেলা ধুলায় বেশ সুনাম কুড়িয়েছে।

শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা বলেন, আমাদের এ শিশু পরিবারের শিশুরা সকল কাজে পারদর্শী। আর আজকে ৩৩ রকমের পিঠা তৈরি করে দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা পিঠা তৈরিতেও পারদর্শী।

শেরপুর সমাজ সেবা বিভাগের উপপরিচালক মো: আমিনুল ইসলাম জানান, শেরপুরের এ শিশু পরিবারটি নিয়ে প্রশাসনের সকল সহযোগিতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

আজকে যে ৩৩ রকমের পিঠা তৈরি হয়েছে এখানে। আর সমাজ সেবা বিভাগের পক্ষ থেকে সুন্দর ও পরিপাটি অনুষ্ঠানটির আয়োজন করার উদ্দেশ্যই ছিলো এতিম শিশুদের বুঝানো তারা অসহায় নয়। আজকের এই পিঠা তৈরিতে আমাদের শিশুদের অবদান বেশি। তারা সব কিছুতেই এগিয়ে যাচ্ছে।

এতিম শিশুদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসবের এমন আয়োজনে মুগ্ধ উপস্থিত কর্মকর্তারাও। এখানে তৈরি পিঠাগুলো ছিলো অনেক সুন্দর ও আলাদা স্বাদ।

পুিলশ সুপারের স্ত্রী জানান, আসেলই এমন অনুষ্ঠােন খুব ভােলা লেগেছ। আমরা এতিম শিশুদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করলাম খুব ভাল লাগলো। বিশেষ করে এতিম শিশুদের আনন্দ দেখে অনেক হ্যাপী আমরা।

শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো: মোমিনুর রশিদ বলেন, তবে সবচেয়ে মজার হলো আজকের এ পিঠা উৎসব। আমরা আজ এতিম শিশুদের সাথে পিঠা উৎসবে শরিক হতে পেরে আমাদের আসলেই ভালো লাগছে।

আমরা তো সবাই নিজের বাড়িতে শীতের পিঠা খেয়েছি। কিন্তু তারা পিঠা খেতে পেরেছে কিনা অতটা শিওর না। আজকের এই পিঠা উৎসবের মাধ্যমে আমাদের সাথে পিঠা খাবে এইটা আমার কাছে খুবি ভালো লাগছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: