পাটের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে রফতানি আয় ১০ বিলিয়ন ছাড়াবে: কৃষিমন্ত্রী
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাট পণ্যের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। পাটের সম্ভাবনার সঙ্গে শাকসবজি ও ফলমূল রফতানির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারলে প্রতিবছর পাট ও কৃষিপণ্যের রফতানি আয় শিগগিরই ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে।
রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পাট দিবসের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আতাউর রহমান।
অনুষ্ঠানে পাট উৎপাদন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রতিনিধিরা পাট ও পাটশিল্পের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১১জনকে জাতীয় পাট পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি ও জোট সরকারের আমলে দেশের পাটশিল্প ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে পাটের হারানো সুদিন প্রায় ফিরিয়ে এনেছে।
তিনি আরো বলেন, গত ২০০৫-০৬ সালে পাটের উৎপাদন ছিল মাত্র ১০ লাখ টন। বর্তমানে পাটের উৎপাদন প্রায় ১৭ লাখ টন, যা ১২ বছরে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পাটবীজের জন্য আমরা কোনো দেশের ওপর নির্ভরশীল না থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। সেজন্য কৃষি মন্ত্রণালয় রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে। ভারত তাদের অনুর্বর জমিতে পাট বীজ চাষ করে কম দামে আমাদের দেশে রফতানি করে থাকে। আমাদের কৃষকেরা অন্যান্য ফসলের তুলনায় পাট বীজ চাষে খুব বেশি আগ্রহী নয়।
তিনি আরো বলেন, তবে এরইমধ্যে আমাদের পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা পাটের উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে, যা ভারতের জাতের চেয়ে অনেক ভালো। কৃষকদের মাঝে এটির চাষ জনপ্রিয় করতে কাজ চলছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। ৩ বছর পর ভারত থেকে পাটবীজ আর আমদানি করতে হবে না।
২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ মার্চ জাতীয়ভাবে পাট দিবস ঘোষণা করেন। এরপর থেকে প্রতিবছর পালন করা হচ্ছে দিবসটি।