South east bank ad

ওয়ান ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকে সাঈদ চৌধুরীকে অপসারণের নির্দেশ

 প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ব্যাংক

ওয়ান ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকে সাঈদ চৌধুরীকে অপসারণের নির্দেশ

সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ঋণ খেলাপির মামলায় ওয়ান ব্যাংক পিএলসি’র পরিচালক পদ থেকে সাঈদ হোসাইন চৌধুরীকে অপসারণের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, সাউথ ইস্ট ব্যাংক পিএলসি’র ১২ কোটি ৩৮ লাখ ৯০ হাজার ৯২৪ দশমিক ১০ পয়সা খেলাপি ঋণের দায়ে করা মামলায় ব্যাংক পরিচালক থেকে সাঈদ হোসাইন চৌধুরীকে অপাসারণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই আদেশের কপি ওয়ান ব্যাংক পিএলসি, সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), ঢাকা স্টক একচেঞ্জ পিএলসি, চিটাগাং স্টক একচেঞ্জ পিএলসি, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশনকে পাঠাতে বলা হয়েছে।
অর্থঋণ আদালত আইনের ৫৭ ধারা অনুসারে ঋণ খেলাপিদের শেয়ার ক্রোকের মাধ্যমে পরিচালক হতে অপসারণের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত সূত্রে জানা যায়, এইচআরসি সিন্ডিকেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সিইও সাঈদ হোসাইন চৌধুরী ব্যবসায়িক প্রয়োজনে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় ২০০১ সাল থেকে ওভারড্রাফট ঋণ সুবিধা পেয়ে আসছেন। ২০০১ সালের ১৭ এপ্রিলের অনুমোদনপত্র অনুযায়ী সাঈদ হোসাইন চৌধুরীর অনুকূলে অনুমোদিত ওভারড্রাফট সুবিধা ছিল ৯ কোটি টাকা। যা বছর বছর বেড়ে সর্বশেষ ২০০৮ সালের ১৩ আগস্ট ঋণ মঞ্জুরীপত্রের শর্ত মতে নবায়ন করা হয়। ২০০৯ সালের ১৯ এপ্রিল বিবাদী পক্ষ চিঠির মাধ্যমে আবেদন করলে বাদী ব্যাংকে একই বছরের ১২ মে ওভারড্রাফট সুবিধা নবায়ন করে ১০ কোটি টাকায় বর্ধিত করে। পাশাপাশি ৫ কোটি টাকার এফডিবিপি সুবিধাও নবায়ন করা হয়।

ঋণ খেলাপিতে পরিণত হওয়ায় সাউথ ইস্ট ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। বর্তমানে বাদী ব্যাংকের হালনাগাদ সুদ ও অন্যান্য খরচসহ গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৫ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৮১৫ দশমিক ৯৩ টাকা পাওনা আছে। এ খেলাপি ঋণের দায়ে সাঈদ হোসাইন চৌধুরীর ওয়ান ব্যাংক পিএলসির ১০ টাকা মূল্যের ৪ কোটি ৮ লাখ ৬ হাজার ৮৫টি শেয়ার এবং তার স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীর মালিকানাধীন ওয়ান ব্যাংকের ৪ কোটি ৬৭ লাখ ২৭ হাজার ২০২টি শেয়ার ক্রোকাদেশ জারির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

BBS cable ad

ব্যাংক এর আরও খবর: