তিন মাসে ৫৪৩ কোটি টাকা আমানত হারিয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিং
চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আমানত কমেছে ৫৪৩ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। অবশ্য, এই সময়ে হিসাবধারী বেড়েছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৭৫১ জন।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের জুন শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মোট হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৩০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৩৮। তিন মাস পর অর্থাৎ সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মোট হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার ১০৯। তিন মাসের ব্যবধানে হিসাবধারী বেড়েছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৭৫১ জন।
২০২৪ সালের জুন শেষে এজেন্ট ব্যাংকিয়ে আমানতের পরিমাণ ছিল ৪০ হাজার ৭৩ কোটি টাকা। যেখানে সেপ্টেম্বর শেষে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৫২৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিয়ে আমানত কমেছে ৫৪৩ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ।
হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের জুন শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় ঋণ বিতরণের স্থিতি ছিল ১৮ হাজার ৭৪১ কোটি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৯৪ কোটি টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে ঋণ বিতরণের স্থিতি বেড়েছে ২ হাজার ৩৪৮ কোটি ১ লাখ টাকা বা ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকের বড় অংশই গ্রামের মানুষ। আলোচিত সময়ে গ্রামে গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯৫ জন। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে হিসাবধারীদের মধ্যে নারী গ্রাহকের সংখ্যা এখন ১ কোটি ১৭ লাখ ৪ হাজার ৮৪৬ জন।
চলতি বছরের জুন শেষে এজেন্টের সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৯৯১টি। সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১১টি। তিন মাসের ব্যবধানে এজেন্টের সংখ্যা বেড়েছে ২০টি। জুন শেষে আউটলেটের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৪৭৩টি। সেপ্টেম্বর শেষে আউটলেটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৩৬৭টি। তিন মাসে আউটলেটের সংখ্যা কমেছে ১০৬টি।