স্যামসন এইচ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শিল্পোদ্যোক্তা, স্কয়ার গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান স্যামসন এইচ চৌধুরীর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের বৈকণ্ঠপুরের এস্ট্রাস খামার বাড়িতে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া ধর্মীয় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে পাবনা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ক্লাব অডিটরিয়ামে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
স্যামসন এইচ চৌধুরীর বড় সাফল্য হচ্ছে, তিনি দেখিয়েছেন সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও কীভাবে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়। তার বাবা ছিলেন একজন মেডিকেল প্র্যাকটিশনার। গোপালগঞ্জে জন্ম হলেও বাবার কর্মস্থলসূত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে শৈশব-কৈশোর কেটেছে তার। জীবনের শুরুতে রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভি, পরে ডাক বিভাগে চাকরি করেছেন। ১৯৫২ সালে ডাক বিভাগের চাকরি ছেড়ে পাবনার আতাইকুলা বাজারে একটি ছোট ওষুধের দোকান দেন তিনি।
১৯৫৮ সালে পাবনা শহরে চার বন্ধু ডা. কাজী হারুনর রশিদ, ডা. পরিতোষ কুমার সাহা এবং রাধিকামোহন রায়কে নিয়ে স্যামসন এইচ চৌধুরী যুক্তভাবে ২০ হাজার টাকা করে দিয়ে ৮০ হাজার টাকা মূলধনে গড়ে তোলেন ওষুধের কারখানা। নাম দেন স্কয়ার ফার্মা। চারজন অংশীদারের সমান মালিকানা আর প্রচেষ্টায় চলার প্রেরণা থেকেই এমন নাম।
ওষুধের ব্যবসা দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও স্কয়ার গ্রুপ ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েছে জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্য উৎপাদনের মধ্য দিয়ে। তিনি শুধু ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েই তার কাজ সীমাবদ্ধ রাখেননি। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেকে আদর্শ প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন।
২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি ৮৫ বছর বয়সে সিঙ্গাপুরে মারা যান তিনি।