নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন কাল
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আগামীকাল (রোববার, ১৬ জানুয়ারি)। গতাকল (১৪ জানুয়ারি) শুক্রবার মধ্যে রাতে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারণা।
১৯২টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোতেই ইভিএম পদ্ধতি ভোট গ্রহণ করা হবে। সকল ৮ টা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ঢাকার পরেই রাজনৈতিক কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ। তাই বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতাদের নজর এখন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিকে।
এই নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিটা ভোটকে কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। শুক্রবার রাত থেকে নগরীতে গাড়ি বহর নিয়ে টহল দিচ্ছে র্যাব, পুলিশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সন্দেহভাজন কাউকে পেলেই করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জানান, সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগরীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বহিরাগতদের নগরীতে প্রবেশ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যেসব কেন্দ্রকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মানে করা হয়েছে সেই ভোট কেন্দ্রকে ঘিরে নেয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তাও।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বলেন, নারায়ণগঞ্জে আদালাভাবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই, সবগুলো কেন্দ্রকেই বিশেষ বিবেচনায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৯২টি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে একজন এসআইয়ের নেতৃতে থাকবেন পাঁচজন করে পুলিশ সদস্য। এছাড়াও আটজন পুরুষ ও চারজন নারী আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সিটি কর্পোরেশনে এবার মেয়রপদে লড়ছেন ৭ জন প্রার্থী। তারা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা), খেলাফত মজলিসের প্রার্থী এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ (হাত পাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ রাশেদ ফেরদৌস (হাত ঘড়ি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম বাবু (ঘোড়া)। এছাড়া নির্বাচনে সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে এবং ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।