শিরোনাম

South east bank ad

লোকসানের কারণে এজিএমের আগে লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন

 প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   কর্পোরেট

লোকসানের কারণে এজিএমের আগে লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। যদিও আর্থিক প্রতিবেদন সংশোধনের পর লোকসান হওয়ার কারণে ব্যাংকটি আলোচ্য হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শোকজের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছে ব্যাংকটি।

তথ্যানুসারে, গত বছরের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সভায় ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ (৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক) লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ঘোষিত এ লভ্যাংশ অনুমোদনের কথা ছিল। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে ব্যাংকটির পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়। নতুন পর্ষদ ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদনে বড় ধরনের ত্রুটি খুঁজে পায় এবং সেটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। আগের আর্থিক প্রতিবেদনে কর-পরবর্তী মুনাফা দেখানো হলেও সংশোধিত আর্থিক প্রতিবেদনে ২০২৩ হিসাব বছরে ব্যাংকটির লোকসান হয়েছে এবং সংরক্ষিত আয়ও ঋণাত্মক হয়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকটির পর্ষদ আলোচ্য হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এক্ষেত্রে কোম্পানি আইনের বিধিবিধান এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পরামর্শ অনুসারে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি।

যদিও ডিএসইর লিস্টিং রেগুলেশন অনুসারে, লভ্যাংশসংক্রান্ত ঘোষণা দেয়ার পর এজিএম করার আগে সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই। তবে সংশোধিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে ব্যাংকটি লোকসানে রয়েছে এবং লভ্যাংশ দেয়ার জন্য বিতরণযোগ্য মুনাফা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুসারে লোকসানে থাকলে ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার সুযোগ নেই। এ কারণে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে বিএসইসির কাছে আগে ঘোষিত লভ্যাংশ বাতিল করে কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার বিষয়টি বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি এক্ষেত্রে ব্যাংকটিকে কোম্পানি আইন অনুসরণ করার পরামর্শ দেয়। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে লিস্টিং রেগুলেশন পরিপালন করতে না পারার বিষয়টি বিবেচনার জন্য ডিএসইকে অনুরোধ জানিয়েছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

সংশোধিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২১ টাকা ৭৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৯৮ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ১৪ পয়সায়।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরেও বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১২ টাকা ৬২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২১ টাকা ৭৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৭৭ পয়সায়। এদিকে ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ জুলাই।

BBS cable ad

কর্পোরেট এর আরও খবর: