কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১৪০ কোটি টাকার ওষুধ কিনবে সরকার

দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সরকার ১৪০ কোটি টাকায় ২৭ প্রকার ওষুধ কেনার একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বৈঠকে মোট ২ হাজার ২০৫ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৪১৫ টাকা ব্যয়ে ৮টি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। বুধবার (২১ এপ্রিল) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এ সংক্রান্ত ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার।
করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের সংকট রয়েছে বলে গণমাধ্যমে এসেছে, আজ বৈঠকে ভ্যাকসিনের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিছু বলেছেন কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যে প্রস্তাব এসেছিল তাতে ১৩ হাজার ৮৮১টি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য আমরা এসেনসিয়াল ড্রাগস থেকে ওষুধ কিনবো। এর বাইরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রকল্পও আমাদের সামনে আসেনি।
অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার জানান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ার কর্তৃপক্ষ (সিবিএইচসি) ২৭ প্রকার ওষুধ সম্বলিত ৮০ হাজার ৭৩৪ কার্টন ওষুধ কেনার একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। মোট ১৩৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৫ হাজার ৮২০ টাকায় সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) এই ওষুধ কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন খুলনা ওয়াসা বাস্তবায়নাধীন ‘খুলনা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প’ এর আওতায় ১২৪ কিমি স্যুয়ারেজ পাইপ লাইন, ৩টি স্যুয়ারেজ পাম্পিং স্টেশন ও ১৩ হাজার ৮শটি সার্ভিস কানেকশন নির্মাণকাজের ঠিকাদার হিসেবে চায়না জিইও ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশকে নিয়োগ দেওয়ার একটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এজন্য ব্যয় হবে ৬৯৬ কোটি ৭৬ লাখ ২৪ হাজার ৭২৭ টাকা।
বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার সিঙ্গাপুর ভিত্তিক ভাইটাল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এজন্য ব্যয় হবে ২৬৭ কোটি ৫৭ লাখ ৫১ হাজার ১৭১ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ৮ দশমিক ০১২ মার্কিন ডলার।
এরআগে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সিটি করপোরেশনগুলোর জন্য জার্মান থেকে উইড হারভেস্টার সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।