বিএসএমএমইউতে অক্সিজেন বাড়িয়ে ২৫ হাজার লিটার করার উদ্যোগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের অক্সিজেন সংকট হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ। ইতোমধ্যে লিকুইড অক্সিজেন পাঁচ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার লিটারে উন্নিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভারত থেকে বাংলাদেশে চারদিন ধরে অক্সিজেন আসা বন্ধ রয়েছে সোমবার এমন খবরের মধ্যেই এ কথা বললেন উপাচার্য।
বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লক ও সি ব্লকের মাঝে স্থাপিত লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক পরিদর্শনকালে তিনি আরও বলেন, লিকুইড অক্সিজেন বাড়াতে আলাদাভাবে আরও একটি ভ্যাকুয়াম ইনসুলেটেড ইভাপোরেটর বা লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন করা হবে।
ভারতের ডাবল মিউটেন্ট ভ্যারিয়েন্ট যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ভারতের সীমান্ত বন্ধ রাখার সরকারি সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলে উল্লেখ করেন উপাচার্য।
উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ আজ তার কার্যালয়ে প্রশাসনিক সভা, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) অফিস, শিশু নিউরোলজি ও কার্ডিয়াক সার্জারির বিভাগের সাথে আলাদাভাবে চারটি সভায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়াও উপাচার্য বিএসএমএমইউর ডা. মিল্টন হলে অনুষদীয় পাঠ কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এসময় বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ কে এম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিএসএমএমইউ সূত্রে জানা গেছে, চলমান কঠোর লকডাউনের মাঝেও বিএসএমএমইউর কনভেনশন সেন্টারে আজ দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন এক হাজার ৩৭৪ জন এবং এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৩০৪ জন। রবিবার পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৪ হাজার ৫৬৪।
এছাড়া, বেতার ভবনের পিসিআর ল্যাবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এক লাখ ৩৫ হাজার ৫৪১ জনের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়েছে। বেতার ভবনের ফিভার ক্লিনিকে গতকাল পর্যন্ত ৯২ হাজার ৩৪ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। অন্যদিকে করোনা ইউনিটে সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত ৮ হাজার ৩২৫ জন রোগী সেবা নিয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৭০৫ জন। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৩ হাজার ৯১৫ জন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ১৬৫ জন রোগী এবং আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১১ জন রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১২ জন।
