South east bank ad

পোশাক রফতানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে ফিরল বাংলাদেশ

 প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   আমদানী/রপ্তানী

পোশাক রফতানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে ফিরল বাংলাদেশ

বিশ্বে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় অবস্থানে নেমে এসেছিল। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটিসটিকাল রিভিউ ২০২২ অনুযায়ী দ্বিতীয় অবস্থানটি পুনরুদ্ধার করেছে বাংলাদেশ। গত বছর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভিয়েতনাম ফিরে গিয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। 

 বুধবার (৩০ নভেম্বর) ডব্লিউটিও’র ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটিসটিকাল রিভিউ ২০২২ প্রকাশ হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাদে একক দেশ হিসেবে তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। বাংলাদেশের উপরে এক নম্বর অবস্থানে যথারীতি চীন। তবে এখাতে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করছে এশিয়ার আরেক দেশ ভিয়েতনাম। গত বছর বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ভিয়েতনামের অবস্থান তৃতীয়তে ফিরে এসেছে। 

প্রতিবেদনের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে বাংলাদেশ ৩৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে। বাংলাদেশের বাজার অংশিদারত্ব (মার্কেট শেয়ার) ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। একই সময়ে ভিয়েতনাম রফতানি করেছে ৩১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক, তাদের মার্কেট শেয়ার ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। 

ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিকাল রিভিউ ২০২২ প্রতিবেদনে শীর্ষ ১০ পোশাকের রফতানিকারক দেশের রফতানি, বাজার অংশিদারিত্ব ও প্রবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায়, বরাবরের মতো ২০২১ সালেও বৈশ্বিক বাজারে পোশাকের প্রধান রফতানিকারক ছিল চীন। গত বছর দেশটি পোশাক রফতানি করে ১৭৬ বিলিয়ন ডলারের। একই খাতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর রফতানি ছিলো ১৫১ বিলিয়ন ডলারের। 

রফতানি, বাজার অংশিদারিত্ব ও প্রবৃদ্ধির বিবেচনায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দেশ দুটি। ৩৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানির মাধ্যমে একক দেশ হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি ৩১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানির মাধ্যমে ভিয়েতনামও আছে দ্বিতীয় অবস্থানে। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে তুরষ্ক। 

পোশাক রফতানির বৈশ্বিক বাজারে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর অংশ বা হিস্যার হ্রাসবৃদ্ধিও উঠে এসেছে ডব্লিউটিওর প্রতিবেদনে। এক্ষেত্রে ২০০০, ২০০৫, ২০১০ ও ২০২১ সালের পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে। দেখা গেছে, চীনের বাজার-অংশ সম্প্রতি সংকোচনের ধারায় চলে গেছে। ২০০০ সালে বৈশ্বিক পোশাক রফতানিতে দেশটির হিস্যা ছিল ১৮ দশমিক ২ শতাংশ। ২০০৫ সালে তা বেড়ে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ ও ২০১০ সালে ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়। তবে ২০২১ সালে বৈশ্বিক পোশাক রফতানিতে দেশটির অংশগ্রহণ কমে হয়েছে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ।

বৈশ্বিক পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ চলতি শতকের সূচনাকালে সামান্য কমলেও বর্তমানে তা প্রবৃদ্ধির ধারায় রয়েছে। ২০০০ সালে বৈশ্বিক রফতানির ২ দশমিক ৬ শতাংশ করেছিলো বাংলাদেশ। ২০০৫ সালে তা কমে হয় ২ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে ২০১০ সালে বাংলাদেশের অংশিদারিত্ব ৪ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়। সর্বশেষ ২০২১ সালে বৈশ্বিক রফতানির ৬ দশমিক ৪ শতাংশ করেছে বাংলাদেশ।

BBS cable ad

আমদানী/রপ্তানী এর আরও খবর: