বিদেশ যেতে দুদকের নিষেধাজ্ঞা নয়, সিদ্ধান্ত বিশেষ জজ আদালতের
সুনির্দিষ্ট বিধি বা আইন প্রণয়ন না করা পর্যন্ত দুর্নীতি মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির বিদেশ যাবার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে দুদক নয়, সিদ্ধান্ত নেবেন বিশেষ জজ আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অভিমত দিয়েছেন। বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নরসিংদীর আতাউর রহমান ওরফে সুইডেন আতাউর রহমানের করা এক আবেদনের ওপর শুনানিকালে এ অভিমত দেন উচ্চ আদালত।
তবে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ আদেশ দেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় গাইডলাইন ঠিক করে দেবেন আদালত। আদালতে আতাউর রহমানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মুন্সী মনিরুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট একেএম ফজলুল হক।
আদালত বলেছেন, বিদেশ যাবার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে দুদকের সুনির্দিস্ট আইন বা বিধি নেই। এ কারণে এ বিষয়ে দ্রুত সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধিমালা করা প্রয়োজন। তাই আশা করছি, এ বিষয়ে দুদক বা সংশ্লিস্ট মন্ত্রণালয় আইন বা বিধি করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
২০২০ সালের ২৪ আগস্ট আতাউর রহমানের সম্পদের তথ্য চেয়ে নোটিশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। এই নোটিশের পর ২২ অক্টোবর তিনি তার সম্পদের তথ্য দুদকে দাখিল করেন। এরপর দুদক অনুসন্ধানে নামে। এই অনুসন্ধানকালে দুদক গত বছরের ২০ ডিসেম্বর আতাউর রহমানের বিদেশ যাবার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দেয়। ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আতাউর রহমান। সেই রিটে জারি করা রুল শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ওই চিঠিকে অবৈধ ঘোষণা করেন।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী সাংবাদিকদের জানান, আদালতের এই আদেশের ফলে এখন কোনো ব্যক্তির বিদেশ যাবার ওপর দুদক এককভাবে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে না। এই নিষেধাজ্ঞা দিতে হলে তাদের বিশেষ জজ আদালতে আবেদন দিতে হবে। আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবেন তাই হবে। আর কোনো ব্যক্তির বিদেশ যেতে হলে তাকেও বিশেষ জজ আদালতের অনুমতি নিতে হবে।