শিরোনাম

South east bank ad

টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃষি ও খাদ্যে বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী

 প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৩, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃষি ও খাদ্যে বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী

কৃষি, খাদ্য ও বাজার ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘কৃষি ও বাজার ব্যবস্থায় বিনিয়োগ আমাদের জন্য শুধু একটি অপশন নয়। টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে এ ধরনের বিনিয়োগ এখন বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। এর মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, সামাজিক সমতার পরিপালন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরো দ্রুত অগ্রসরমান ও টেকসই উন্নয়নকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করবে।’


রাজধানীর বনানীতে নরডিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশনের (গেইন) এক সিম্পোজিয়ামে গতকাল তিনি এসব কথা বলেন। তিন নরডিক দেশ ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় ‘ইনভেস্টমেন্ট ফর ক্যাটালাইজিং সাসটেইনেবল অ্যান্ড রেসিলিয়েন্ট ফুড সিস্টেম’ শীর্ষক এ সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে নরডিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এনসিসিআই)। এতে বাংলাদেশে কৃষি ও খাদ্যপণ্যের ব্যবসায় বেসরকারি খাতের আরো বেশি অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে চলমান সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।


কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে নরডিক দেশগুলো ইউরোপের তুলনায় অনেক বেশি অভিজ্ঞ। তারা যদি জ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে চায়, তাহলে আমরা স্বাগত জানাব। এ মুহূর্তে কৃষিতে আমাদের খুব বেশি একটি বিদেশী অর্থায়নের প্রয়োজন নেই। এখন আমাদের দেশে কৃষি খাতে অনেক আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন তরুণ বিনিয়োগকারী যুক্ত হয়েছে। ডেনমার্ক যদি তাদের অভিজ্ঞতা, আবিষ্কার ও প্রযুক্তি দিয়ে সহযোগিতা করে, তাহলে আমাদের তরুণ প্রজন্ম আধুনিক কৃষির দিকে আরো বেশি আগ্রহী হবে।


এনসিসিআই সভাপতি তাহরিন আমান বলেন, ‘নরডিক এবং বিদেশী বিনিয়োগকারী উভয়েই ইউনাইটেড নেশনস ফোরাম অন সাসটেইনবিলিটি স্ট্যান্ডার্ডের (ইউএনএফএসএস) এবং নিউট্রিশন ফর গ্রোথ (এন৪জি) প্রতিশ্রুতিগুলো একসঙ্গে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা দেখতে চায়। উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য পূরণে সবচেয়ে বেশি সুযোগ রয়েছে বেসরকারি খাতের। বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এসব প্রতিশ্রুতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধির বড় সুযোগ। উদ্ভাবন, দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক চর্চা, প্রযুক্তির রদবদলের জন্য ও প্রযুক্তির স্থানান্তরের এ অংশীদারত্বকে আরো বেশি উৎসাহিত করবে।’


নর্ডিক দূতাবাসের পক্ষ থেকে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসান বলেন, ‘খাদ্য, কৃষি ও অ্যাকুয়াকালচার শিল্পে ডেনমার্ক বড় ধরনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে। বর্তমানে খাদ্যনিরাপত্তা ও সবুজায়নের নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে কাজ করছে দুই দেশ।’


এ সময় খাদ্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে আরলা ফুড, প্রাণ, তারাপ্যাক, আকিজ, কোরো, স্কয়ার, এসিআই, মেঘনা ও ইউনিলিভারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

BBS cable ad

মন্ত্রনালয় এর আরও খবর: