আমাদের অব্যবস্থাপনার কারণে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ আসেনি-বিডার সভায় সালমান এফ রহমান

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, দেশের অর্থনীতি এখন অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। কভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, এরপর ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার বাড়িয়ে দেয়া; এসব মিলে গোটা পৃথিবীতেই একটা চাপ তৈরি হয়েছে। আমাদের মিস ম্যানেজমেন্টের (অব্যবস্থাপনা) কারণে এ চ্যালেঞ্জগুলো আসেনি।
গতকাল আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কনফারেন্স হলে সংস্থাটির ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনাবিষয়ক সভার শুরুতে সালমান এফ রহমান এসব কথা বলেন।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া সভায় সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন। বিডার নির্বাহী সদস্য মোহসিনা ইয়াসমিন ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘কভিডের আগ পর্যন্ত আমরা ভালোই করছিলাম। আমাদের অর্থনীতি স্থিতিশীল ছিল। কভিড আমরা ভালোভাবে মোকাবেলা করেছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ হলো। ফেডারেল রিজার্ভ ইন্টারেস্ট রেট (সুদহার) বাড়িয়ে দিল। এর ফলে ডলারের দাম বেড়ে গেল, আর তাতে আমাদের রিজার্ভের ওপর চাপ পড়ল। পণ্য, সার ও জ্বালানির দাম বেড়ে গেল। যে তিনটা জিনিস আমরা আমদানি করি, সেগুলোর দাম অনেক বাড়ল। আমাদের অর্থনীতির ওপরেও চাপ বাড়ল।’
তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ সেবা বিলম্ব করার কোনো সুযোগ নেই। তাই বিনিয়োগসংক্রান্ত সব সেবাকে দ্রুতই বিডা ওএসএসে যুক্ত হতে হবে, যাতে বিনিয়োগকারীদের সেবা গ্রহণের জন্য অন্য কোনো অফিস বা দপ্তরে না যাওয়া লাগে।’
এ সময় তিনি বিনিয়োগ সেবা স্বচ্ছ ও দ্রুত প্রদান করার জন্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমান যে চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবেলা করছি, সেখানে বিনিয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
সভায় সভাপতির বক্তব্যে লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘বর্তমানে আমরা বিডা ওএসএসের মাধ্যামে ১২৪ সেবা প্রদান করছি। আশা করি আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে বিনিয়োগের সব সেবা বিডা ওএসএসে যুক্ত করতে পারব। তখন বিনিয়োগ সেবাগুলো আরো দ্রুত প্রদান করা সম্ভব হবে, এমনকি এক মাসের মধ্যে সব বিনিয়োগসেবা প্রদান করা যাবে।