South east bank ad

দুর্বল ৭ ব্যাংককে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি তারল্য সহয়তা: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

 প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

দুর্বল ৭ ব্যাংককে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি তারল্য সহয়তা: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা বলেছেন, রাজনৈতিক ও বিশেষ কিছু কারণে ১১টি ব্যাংক চিহ্নিত করা হয়েছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি প্রত্যেকটা ব্যাংক সংস্কারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করবে। তবে প্রথমে অগ্রাধিকার পাবে ইসলামিক ব্যাংকগুলো। এ পর্যন্ত দুর্বল সাত ব্যাংককে ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার তারল্য সহয়তা দিয়েছে সবল ১০ ব্যাংক।

বুধবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানাান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী ও সাঈদা খানম।

সব গ্রাহককে ব্যাংক থেকে একসঙ্গে টাকা না তুলতে অনুরোধ জানিয়ে মুখপাত্র বলেন, সব গ্রাহক একসঙ্গে ব্যাংকে টাকা তুলতে হুমড়ি খেয়ে পড়ার কারণে কিছু ব্যাংক টাকা দিতে পারছে না। কোনো দেশের ব্যাংকই দিতে পারে না।

তিনি বলেন, আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে ঢালাওভাবে নাম প্রকাশ করা সম্ভব না। পাশাপাশি পাচার হয়ে যাওয়া টাকা ফেরত আনতে যেসব কার্যক্রম নেয়া হয়েছে, আগেই নাম প্রকাশ করা হলে টাকা ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে টাকা পাচারকারীর নাম প্রকাশ করা হয় না, এটাও একটি কারণ।

হোসনে আরা শিখা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে আইনজীবী ও পরামর্শক নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যেসব রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের হিসাব জব্দ করা হয়েছে, সেইসব হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করছে। তদন্ত শুরু থেকে সাত মাসের মধ্যে যে কোনোভাবেই হোক শেষ করতে হবে।

শিল্প গ্রুপে প্রশাসক নিয়োগ সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ করছে না, করবে না। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক একটি শিল্প গ্রুপে প্রশাসক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বা করবে। এর বাইরে কোনো শিল্প গ্রুপে প্রশাসক নিয়োগ করা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, যেসব ব্যাংকের কাছে যথেষ্ট তারল্য রয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে তারল্য সুবিধা দেওয়া দিচ্ছে। কিন্তু তারল্য সমস্যায় থাকা ব্যাংকগুলো প্রত্যাশা অনুযায়ী তারল্য সুবিধা পাচ্ছে না। ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এ বিষয়ে এরই মধ্যে আলোচনা করেছে। যে পদ্ধতি অনুসরণ করলে তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো প্রত্যাশা অনুযায়ী তারল্য পাবে, বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক বিবেচনা করছে।

BBS cable ad