শিরোনাম

South east bank ad

‘অপারেশন সুন্দরবন’ চলচ্চিত্রের মাইলফলক হয়ে থাকবে: র‌্যাব প্রধান

 প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   র‍্যাব

‘অপারেশন সুন্দরবন’ চলচ্চিত্রের মাইলফলক হয়ে থাকবে: র‌্যাব প্রধান

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

‘অপারেশন সুন্দরবন’ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

তিনি বলেছেন, সুন্দরবনের অনন্য সৌন্দর্য বিশ্বের বুকে তুলে ধরবে এ চলচ্চিত্র। র‌্যাব ফোর্সের দুঃসাহসিক অভিযানকে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে র‌্যাব ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ‘অপারেশন সুন্দরবন’ চলচ্চিত্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরায় স্টার সিনেপ্লেক্সে র‌্যাবের নির্মিত ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, আইজিপি মহোদয় র‌্যাবের মহাপরিচালক থাকাকালে দস্যুমুক্ত সুন্দরবন ও চলচ্চিত্র নির্মাণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। যা আজ আমরা সমাপ্ত করতে যাচ্ছি। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে দর্শকদের জন্য বিভিন্ন হলে মুক্তি পাবে ছবিবি। দেশি-বিদেশি অনেক কলাকুশলীর সমন্বয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ছবির ট্রেলার, অফিসিয়াল পোস্টার ও দুটি গান রিলিজ হয়েছে, যা দেশব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এছাড়া চলচ্চিত্রটি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।

চলচ্চিত্রটি নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, দস্যুমুক্ত সুন্দরবন অর্জনে র‌্যাবের ত্যাগ-তিতিক্ষা, সাফল্যগাঁথা, ও রোমাঞ্চকর উপাখ্যান মানুষের সামনে তুলে ধরতে র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংস ব্যবস্থাপনায় ও দীপঙ্কর দীপনের পরিচালনায় ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে ৩০ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত ছবিটি নির্মাণের কাজ চলে।

সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করার প্রসঙ্গে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন। অথচ কিছু দিন আগেও বনজীবী ও মৎস্যজীবীরা বনদস্যু ও জলদস্যুদের কাছে জিম্মি ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় র‌্যাব ফোর্সের সাঁড়াশি অভিযানের ফলে এ অরাজক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটেছে। র‌্যাবের অভিযানের ফলে জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে সুন্দরবন এখন দস্যুমুক্ত। র‌্যাবের সুন্দরবন জলদস্যু মুক্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। সুন্দরবনে অপহরণ-হত্যা এখন নির্মূল হয়েছে।

চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, জেলেদের কষ্টার্জিত উপার্জনের ভাগও এখন কাউকে দিতে হচ্ছে না। মৌয়ালী, বনজীবী, মৎস্যজীবী সবাই এখন নিরাপদ। দর্শনার্থী ও পর্যটকরাও এখন নিরাপদে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারছেন। এখন শান্তির সুবাতাস বইছে এ অঞ্চলে। এভাবে সরকারের দূরদর্শিতায় সুন্দরবন ঘিরে ব্যাপক অর্থনৈতিক গতিশীলতার সঞ্চার হচ্ছে।

BBS cable ad

র‍্যাব এর আরও খবর: