র্যাব-১১, কর্তৃক অপহরণকারী চাচা গ্রেফতার এবং ভিকটিম উদ্ধার
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ধসঢ়;ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। যেখানেই মানবাধিকার লুণ্ঠিত হয়েছে, নারী অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়েছে বা নারী নির্যাতন/অপহরণের কোন ঘটনা ঘটেছে, র্যাব তৎক্ষণাৎ ভিকটিম অথবা নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। র্যাব-১১ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অপহরণ সংক্রান্ত অপরাধ দমনের লক্ষ্যে অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ রাতে বনশ্রী, ডিএমপি, ঢাকা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা এজাহারনামীয় ০১নং আসামী সাখাওয়াত হোসেন সৌরভ (৩৫), পিতাঃ হাজী মোঃ খোরশেদ আলম @ শেখ সফিউল্লাহ, সাং-ক্যানেলপাড় উত্তর ভূইগড়, থানা-ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ’কে গ্রেফতার এবং ভিকটিম(১৯)’কে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী সাখাওয়াত হোসেন সৌরভ (৩৫) এবং ভিকটিম(১৯) পরস্পর আপন চাচা-ভাতিজি। গ্রেফতারকৃত আসামী সাখাওয়াত হোসেন সৌরভ বিভিন্ন সময় তার আপন ভাইয়ের মেয়ে ভিকটিম’কে উত্যক্ত করতো এবং বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিতো। ভিকটিম উক্ত কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে আসামী সাখাওয়াত হোসেন সৌরভ তাকে অপহরণ করার হুমকি প্রদান করত। ভিকটিম গত ১৪/১০/২০২২ খ্রিঃ তারিখে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন জালকুড়ি নাইতারপাড়াস্থ তার খালতো বোনের বাসায় বেড়াতে যায়। ১৯/১০/২০২২ খ্রিঃ তারিখ বিকালে উল্লেখিত বাড়ি হইতে এজাহারনামীয় ১ নং আসামী সাখাওয়াত হোসেন সৌরভ (৩৫) তার অবৈধ কামলালসা চরিতার্থ করার জন্য এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় ভিকটিমকে জোরপূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলা নং-৩৪, তারিখ-২৩/১০/২০২২খ্রিঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করে। অপহরণকারী আসামী ভিকটিমকে অপহরণ করে কৌশলে আত্মগোপনে ছিল। পরবর্তীতে র্যাব-১১, সিপিএসসি এর গোয়েন্দা টীম এই ব্যাপারে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য এর ভিত্তিতে উল্লেখিত আসামীকে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহনের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।॥