South east bank ad

শরণখোলায় বাড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ

 প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ

শরণখোলায় বাড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ

নইন আবু নাঈম (শরণখোলায় , বাগেরহাট) :
শরণখোলার সর্বত্র চলছে পানির জন্য হাহাকার। নদী ও খালের পানি লবনাক্ত। এলাকার কোথাও গভীর নলক‚প কার্যকর নয়। অগভীর নলক‚পের পানিও লবনাক্ত। অনাবৃষ্টি ও গ্রীস্মের তাপদাহে পুকুরের পানি শুকিয়ে তলানিতে ঠেকেছে। তাই ওই দুষিত পানি বাধ্য হয়ে পান করতে হচ্ছে সবাইকে। একারনে বাড়ছে ডায়রিয়া, আমাশয়, চর্মরোগসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, শরণখোলায় নলকুপের পানি লবনাক্ত হওয়ার কারনে পন্ড স্যান্ড ফিল্টার (পিএসএফ) ও রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং এর উপর নির্ভর করতে হয় মানুষকে। উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ১১ শতাধিক পিএসএফ থাকলেও তার ৯ শাতাধিক অকেজো। পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বাকিগুলোও ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে। যার কারনে তীব্র পানি সংকট চলছে।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফরিদা ইয়াছমিন জানান, শরণখোলায় পানি সংকটের কারনেই ডায়রিয়ায় আক্রান্তসহ পানি বাহিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মঙ্গলবার একদিনেই ২১ জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছে। শয্যা সংকটের কারনে তাই মেঝেতে রাখতে হচ্ছে। এনিয়ে ১এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ১৪০ জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলেও আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশী।
উপজেলার রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা শরণখোলা সরকারি কলেজের প্রভাষক আঃ জলিল জানান, তাদের এলাকার পানি চরম লবনাক্ত। গ্রীস্মের তাপে খাল-বিল, পুকুর সব শুকিয়ে গেছে। ৩/৪ মাইল পথ পাড়ি দিয়েও কেউ পানি পাচ্ছে না। বৃষ্টিরও দেখা নেই। মানুষ এখন পানির জন্য এখন হাহাকার করছে। উপক‚লীয় এ অঞ্চলের পানি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান তিনি।
সাউথখালী ইউনিয়নের খুড়িয়াখালী গ্রামের রাসেল মুন্সি জানান, তাদের গ্রামের অধিকাংশ পুকুর এখন পানি শুন্য। পরিবারের নারী সদস্যরা ২/৩ মাইল পথ হেটে যে পানি আনছেন তাও দুষিত। আর ওই পানি পান করেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের বাসিন্দা ওয়াদুদ আকন, আঃ হাকিম তালুকদার, সুনিল শীল, নির্মল বালা জানান, তাদের এলাকার তিন শতাধিক পরিবার অগ্রদূত ফাউন্ডেশনের পুকুরের উপর নির্ভশীল। কিন্তু পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় প্রায় তিন মাস ধরে পিএসএফটি অকেজো হয়ে আছে। তাই মানুষ বাধ্য হয়ে খালের লবনাক্ত পানি ব্যবহার করছে।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, শরণখোলার তীব্র পানি সংকট সমাধানে দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহন এবং স্থায়ী সমাধানে প্রকল্প গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। এছাড়া বাগেরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সহ বেসরকারি সংস্থাগুলোকে জরুরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।###

BBS cable ad

সারাদেশ এর আরও খবর: