সিইউএফএলের রাসায়নিক বর্জ্য কেঁড়ে নিলো ১২ টি মহিষের জীবন
এম.এম.জাহিদ হাসান হৃদয় (আনোয়ারা):
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত দেশের বৃহৎ সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) ফ্যাক্টরির বিষাক্ত পানি খেয়ে ১২ টি মহিষের মৃত্যু হয়েছে।
ফ্যাক্টরি আশে পাশের এলাকায় ফ্যাক্টরির দূষিত রাসায়নিক বর্জ্য জলাশয়ের পানিতে ছাড়া হলে পানিগুলো বিষাক্ত হয়ে ওঠে।
সেখানকার পানি পানের পর এসব মহিষের উপর শুরু হয় মরণ তাণ্ডব। ফ্যাক্টরির দক্ষিণ পাশে খোলা এরিয়ায় এসব মহিষের পালগুলি চষে বেড়ায় বলে জানিয়েছে স্থানীয় খামারিরা।
স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা জানায়, বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকালে মহিষ গুলো জলাশয়ের পানি পানের পর থেকেই অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। মাঠেই আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে ওঠে ১২টি মহিষের দেহ। এছাড়াও অসংখ্য গবাদি পশু অসুস্থ হয়ে আছে।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ বলেন, সিইউএফএল ফ্যাক্টরি থেকে নির্গত দূষিত পানি খেয়ে স্হানীয়দের এই পর্যন্ত ১২টি মহিষ মারা গিয়েছে যা খুবই দুঃখ জনক।
এর আগেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এক বছর আগে ৩টি, গত ৬ মাস আগে আরো একটি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দূর্ভাগ্য এলাকার মানুষের ভূমিতে ফ্যাক্টরি প্রতিষ্টিত হয় মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে অথচ এখন এলাকার মৎস্য খামারি ও মহিষ -গরুর খামারিদের নিঃস্ব করা-চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করাই যেন সিইউএফএল কর্তৃপক্ষের কাজ হয়ে দাড়িয়েছে।
আগামীতে সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ এসব বিষাক্ত পানি নিষ্কাশনের আগে মাইকিং করবে স্থানীয়রাও সচেতন হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিষয়টি জানতে সিইউএফএলের এমডি আব্দুর রহিমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করতে চাইলেও যোগাযোগ সম্ভম হয়নি।