বৃষ্টির চিকিৎসার দায়িত্ব নিলো জেলা প্রশাসন
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
অস্বাভাবিক আচরণ করার কারণে শিশু বৃষ্টিকে সারাক্ষণ ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয় সারাক্ষণ হাত-পা বেঁধে রাখা নেত্রকোনার দুর্গাপুরের শিশু বৃষ্টির (৮) চিকিৎসায় ৫০ হাজার টাকার অনুদান দিয়েছেন জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান। সেই সঙ্গে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে বৃষ্টির বাবা-মায়ের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক। এসময় শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসা করানোর আশ্বাস দেওয়া হয়।
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার দশাল গ্রামের রাজমিস্ত্রি শাহজাহান মিয়া ও গৃহিণী আয়েশা খাতুনের মেয়ে জান্নাতুল বৃষ্টি। দুই বোনের মধ্যে সে বড়।
পারিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে জন্মের সময় বৃষ্টির নড়াচড়ায় কিছু অস্বাভাবিকতা দেখা গেলে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করানো হয়। এক বছর যেতে না যেতেই শিশুটির অস্বাভাবিক আচরণ বাড়তে থাকে। মুক্ত অবস্থায় সে নিজেই নিজের মাথায় থাবড়াতে থাকে। হাত-পা কামড়াতে থাকে। রাতে না ঘুমিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করে। লোকজনকে মারতে আসে। জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এসব কারণে নিরুপায় হয়ে তাকে সারাক্ষণ ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। গত কয়েক বছর ধরে তাকে এভাবেই রাখা হয়।
অসুস্থ বৃষ্টির বাবা শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। সামান্য রোজগারে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসা করাতে পারেননি মেয়েকে।’
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব উল আহসান বলেন, ‘বৃষ্টির চিকিৎসার বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওই হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক ওয়াসিম এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। আগামী শনিবার মা-বাবাসহ তাকে সেখানে পাঠানো হবে। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাকে দেখবেন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। তারা প্রয়োজন মনে করলে বৃষ্টিকে ঢাকার নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালেও পাঠানো হবে।’
জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান বলেন, বৃষ্টির উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন হলে সব ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে। দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে শিশুটির চিকিৎসার তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।