সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার ঘটনায় হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনও অজানা বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন। রোববার (৫ জুন) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এ কথা জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হবে। তদন্ত হবে। তখন সঠিক কারণ জানা যাবে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরই মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান ডিআইজি।
ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে হয়ত ফায়ার সার্ভিস কমিটি করবে। তদন্তে প্রকৃত তথ্য জানা যাবে।
হতাহতের সঠিক সংখ্যা জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হতাহতের সঠিক তথ্য এখনও জানা নেই।
তিনি জানান, সবশেষ তথ্য অনুযায়ী ১৬ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী।
ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশের এক সদস্যের পা থেঁতলে গেছে। তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ২ শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেলসহ আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে ইউনিট আরও বাড়ানো হয়। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের ১৮৩ কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়া নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ করছেন।
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ২৪ একর জায়গায় অবস্থিত। এই প্রতিষ্ঠানটি মূলত পণ্য রপ্তানিতে কাজ করে। এখান থেকে পণ্য রপ্তানির জন্য কনটেইনারগুলো প্রস্তুত করে চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়। ৩৮ ধরনের পণ্য রপ্তানিতে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। ঘটনার সময় সেখানে ৫০ হাজার কনটেইনার ছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সময় অন্তত দুইশ শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন বলেও জানা গেছে। তবে সেখানে ঠিক কত সংখ্যক মানুষ তখন ছিলেন তা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি।