South east bank ad

ভিজিএফ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ৯ হাজার জেলে পরিবার

 প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ

ভিজিএফ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ৯ হাজার জেলে পরিবার
 

গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ থেকে বিরত থাকা ভোলার লালমোহন উপজেলার প্রায় ৯ হাজার জেলে পরিবার ভিজিএফ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এ নিয়ে জেলেদের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ-অসন্তোষ।

গত জুলাই মাসে প্রতিজন জেলের মাঝে ৩০ কেজি করে এই ভিজিএফ চাল বিতরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে জনপ্রতিধিদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের গরিমশি ও কর্তব্যে অবহেলার কারণে লালমোহন উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৮ হাজার ৮০৪ জন জেলে ভিজিএফ চাল পায়নি।

লালমোহন উপজেলার গজারিয়া খালগোড়া এলাকার তেঁতুলিয়া নদী সংলগ্ন জেলে পল্লীর বাসিন্দা আব্দুল খালেক, নজিমউদ্দিন ও শাহে আলমসহ একাধিক জেলে জানান, তারা কার্ডধারী নিবন্ধিত জেলে। গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও ৬৫ দিন সরকারী নিষেধাজ্ঞা মানতে গিয়ে তারা বেকার হয়ে পড়েন। তবে সময় মতো তাদের ভিজিএফ চাল দেওয়া হয় না। এতে করে জেলে পরিবারগুলো অভাব-অনটনে দিন পার করছে।

জানা গেছে, প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত ৩ মাস সাগর উত্তাল থাকে। এই ৩ মাস জেলেদের জীবনের ঝুঁকির বিষটি বিবেচনা করে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সামুদ্রিক জলসীমায় জেলেদেরকে মৎস্য আহরণ থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই সময়ের মধ্যে লালমোহন উপজেলার ৮ হাজার ৮০৪ জন বেকার জেলের মাঝে ৩০ কেজি করে মোট ২৬৪ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।

চাল কেন বিতরণ করা হয়নি, তা জানতে লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানকে ফোন করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) এমদাদুউল্যাহ বলেন, ৬৫ দিনের মধ্যে প্রথম কিস্তির চাল ডেলিভারি নিয়ে চেয়ারম্যানরা বিতরণ করেছেন। এরপর গত ১৬ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ২য় কিস্তির চাল ডেলিভারি নেয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হলে শুধুমাত্র লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চাল উত্তোলন করেন। বাকি ৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বা সচিব কেউই গুদামের ধারে কাছে আসেননি। এ চাল না নেয়ায় আমাদের অন্যান্য প্রকল্পের চাল মজুদ ও লোডিং নিয়ে সমস্যা হচ্ছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলী আহম্মদ আখন্দ জানান, জুন-জুলাই মাসে বিভিন্ন ইউনিয়নে ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ছিল। এছাড়া একাধিক ইউনিয়নে মামলা সংক্রান্ত জটিলতা থাকার কারণে অনেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নেই। এরইমধ্যে সরকারের পরিবর্তন ঘটে। এসব কারণে ২য় কিস্তির চাল বিতরণ হয়নি। তবুও আমরা অসহায় জেলেদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে চালগুলো বিতরণের জন্য সময় বৃদ্ধি চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। আশা করি জেলেরা তাদের চাল দ্রুত সময়ের মধ্যে পাবেন।

BBS cable ad

সারাদেশ এর আরও খবর: