South east bank ad

লো-র্কাবন ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে সবুজ-বান্ধব ফাইভজি নেটওয়ার্ক

 প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   তথ্য প্রযুক্তি

স্টাফ রিপোটার্স :

মোবাইল ব্রডব্যান্ড ফোরাম ২০২১-এর ‍দ্বিতীয় ‍দিনে ‘গ্রিন ফাইভজি নেটওয়ার্ক ফর আ লো-কার্বন নেটওয়ার্ক’ র্শীষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হুয়াওয়ের নির্বাহী পরিচালক ও ক্যারিয়ার বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট রায়ান ডিং। এখানে দ্রুত ডটো ট্র্যাফিক বৃদ্ধির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পুরো শিল্প খাতের পাওয়ার সাপ্লাই, বিতরণ, ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবন চালিয়ে যাওয়া এবং একইসাথে উচ্চ পারফরমেন্স ও কম জ্বালানি খরচে সবুজ-বান্ধব ফাইভজি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

ডিং এর মতে, যেসব দেশে ফাইভজির দ্রুত উন্নয়ন ঘটেছে ও অপারেটরেরা এক্ষেত্রে বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে, তারা এর সুফলও পাচ্ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, যখন ফাইভজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে পরিমাণে বাড়বে তখনই অপারেটররা এর পুরোপুরি সুবিধা উপভোগ করতে পারবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ফাইভজি পেনিট্রেশন ২০ শতাংশে পৌঁছালে, এ প্রযুক্তির বিকাশ আরও দ্রুত হবে।

চীন, দক্ষিণ রোরিয়া ও কুয়েতের মতো দেশগুলোতে অপারেটররা ব্যবহারকারীদের দ্রুত দেশব্যাপী কভা দক্ষণি কোরয়িা ও কুয়তেরে মতো দশেগুলোতে অপারটেররা ব্যবহারকারীদরে দ্রুত দশেব্যাপী কভারজে প্রদান ও নিরবিচ্ছন্ন সেবা প্রদান করেছে। তারা ব্যবহারকারীদের সুবিধা অনুযায়ী প্যাকেজ নিয়ে এসেছে যা গ্রাহক ও অপারেটর উভয়ের জন্যই সুবিধাজনক। ব্যবহারকারীদের নতুন নেটওয়ার্ক স্থানান্তর ও নেটওয়ার্ক বিকাশের ত্বরান্বিত করতে অপারেটররা ফোরজির চেয়ে উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদান করছে। এসব দেশে ২০ শতাংশরেও বেশি গ্রাহক ফাইভজিতে সেবা নিতে শুরু করেছে যার ফলে ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে এবং ব্যবসায়িক আয় ও নেটওয়ার্ক নির্মাণে ইতিবাচক প্রবণতা এনেছে।

উচ্চমানের ফাইভজি নেটওয়ার্ক মোবাইল ডেটা ট্রাফিকের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাবে। ধারণা করা যায় যে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রত্যকে ব্যবহারকারীর মাসিক ডেটা ট্র্যাফিক ৬শ’ জিবিতে পৌঁছাবে। আর বিদ্যমান নেটওয়ার্ক গুলোর সক্ষমতা যদি একইরকম থেকে যায় তবে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক করে জ্বালানি খরচ দশগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পাবে। ডিং বলেন, আইসিটি শিল্পের গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ৪৫ শতাংশ কমাতে উচ্চ পারফরম্যান্স ও কম জ্বালানি খরচের গ্রিন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে অপারটেরদেরকে বিদ্যমান পাওয়ার সাপ্লাই, বিতরণ, ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবন চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।

ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক এর জ্বালানি ব্যবহার বিষয়ে হুওয়ায়ের বিস্তৃত পরিসরের পণ্য ও সমাধান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি পোল, ক্যাবিনেট, সাইট ও ইক্যুইপসেন্ট রুমসহ সকল ক্ষেত্রে সমাধান প্রদানে আইসোলার পাওয়ার সাপ্লাই সল্যুশন তৈরি করেছে। এ সল্যুশন গ্রডি থেকে বিদ্যুৎ ও ডিজেল জেনারেটরের ফসিল ফয়েলের ব্যবহার হ্রাস করে বেজ স্টেশনগুলোর জ্বালানির উন্নতি ঘটাতে পারে। পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে এ শিল্পখাতের র্শীষস্থানীয় হাই-ডেনসিটি পাওয়ার সল্যুশন প্রদান করে। প্রত্যেক সাইটের জন্য শুধুমাত্র একটি ক্যাবিনেট অথবা শুধুমাত্র একটি ব্লেড প্রয়োজন। আর এই সল্যুশনটি মোবাইল নেটওয়ার্কের উন্নয়নে দীর্ঘদিন সাহায্য করবে।

বক্তব্যের শেষে ডিং বলেন, সৌদি আরব গ্রিস, পাকিস্তান ও সুইজারল্যান্ড সহ ১শ’র বেশি দেশে হুয়াওয়ে লো-র্কাবন সাইট সল্যুশন স্থাপন করেছে, যা অপারেটরদের ৪০ মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাসে সহায়তা করেছে। টেলিযোগাযোগ খাতের প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবুজ বিপ্লবকে কেন্দ্র করেই হুয়াওয়ে সব কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং সবুজ বান্ধব ফাইভজি নেটওয়ার্ক তৈরিতে বিশ্বজুড়ে অপারেটরদের সাথে উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে কাজ করে।

খাত সংশ্লিষ্ট অংশীদার – জিএসএমএ এবং এসএএমইএনএ টেলিকমিউনিকেশনস কাউন্সিলের সাথে একসাথ বৈশ্বিক মোবাইল ব্রডব্যান্ড ফোরাম আয়োজস করেছে হুয়াওয়ে। ফাইভজির সম্ভাবনা কীভাবে বাড়ানো যায় এবং মোবাইল খাতকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় এ নিয়ে আলোচনায় এ ফোরামে সারাব্শ্বি থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর বিভিন্ন খাতের নেতৃবৃন্দ ও ইকোসিস্টেম পার্টনাররা অংশগ্রহণ করেন।

আরও তথ্যের জন্য অনুগ্রহ করে যোগাযোগ করুন: https://www.huawei.com/en/events/mbbf2021

BBS cable ad

তথ্য প্রযুক্তি এর আরও খবর: