সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সফলতার পরিচয় দিয়েছেন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপি
বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ঢাকা-১২ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত এমপি ও একজন জনপ্রিয় ও সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদে এমপি নির্বাচিত হন।
আসাদুজ্জামান খান ১৯৫০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা জেলার তেজগাঁও থানার মনিপুরিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আশরাফ আলী খান একজন সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন আর মাতা আকরামুন নেসা। তাদের পৈতৃক নিবাস ঢাকা জেলার অন্তর্গত দোহার উপজেলায়।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ১৯৬৫ সালে ঢাকা পলিটেকনিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৬৭ সালে জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি সত্তরের দশকে মঞ্চ নাটক করতেন। খেলাধুলায় তিনি ব্যাডমিন্টন ও দাবা খেলায় পারদর্শী ছিলেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন মুক্তিবাহিনীর সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। খান ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরীর নেতৃত্বে সেক্টর ২-এ যুদ্ধ করেছিলেন। আসাদুজ্জামান খান বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য।
তিনি ২০০৮ সালে বাংলাদেশের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১২ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১২ জানুয়ারি ২০১৪ সালে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। তার দক্ষতা, যোগ্যতা এবং দেশ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পান। আসাদুজ্জামান ৩০ শে ডিসেম্বর ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পুনরায় শপথ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ছাত্র জীবন থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ২নং সেক্টর এর ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরীর অধীনে মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেন। তিনি বর্তমানে ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী-লীগের সহ সভাপতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
তিনি দ্বিতীয় বারের মত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করে দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূলের মাধ্যমে তিনি বর্তমানে বৈশ্বিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও রাজনীতিবিদ হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযানের মাধ্যমে দেশে মাদকের প্রকোপ কমিয়ে আনতে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান ও জাতিসংঘে টেকসই শান্তি সম্মেলনসহ বহু আন্তর্জাতিক সেমিনারে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় তিনি অনন্য ভুমিকা রেখেছেন। তাঁর নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অধিভূক্ত ১০ টি প্রতিষ্ঠান সত্যিকার অর্থে বিশ্বমানের নিরাপত্তা ও সেবা দানে প্রাগ্রসর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।