আদালতের রায় জালিয়াতির অভিযোগ
এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা):
বরিশাল বিজ্ঞ ২য় সাব জজ আদালতের দেওয়ানী ৫৪২/১৯৬২ নং মোকদ্দমার রায় জালিয়াতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী জানা গেছে, বাদী-বিবাদীর নাম, জমির পরিমান, জমির পরিচয় ইত্যাদি পরিবর্তন করে শুধুমাত্র মামলা নম্বর ঠিক রেখে ওই আদালতের বিচারক, সেরেস্তাদার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, প্রধান তুলনাকারক সহ অনেকের নামের সীল কেটে হুবহু স্বাক্ষর, সীল দিয়ে ১৯৭৯ সালের ২২ মার্চ ৭৩৪৫ নং স্মারকে দেওয়ানী ৫৪২/১৯৬২ মোকদ্দমার ৪৮.১৮ একর জমির জাল সই মোহর তৈরি করা হয়েছে।
এমন অভিযোগ জেলার তালতলী উপজেলার পাজরাভাংগা গ্রামের আব্দুর রশিদ (৮০), আব্দুল হাকিম (৬৫), ও আব্দুল খালেক (৭০) এর বিরুদ্ধে। এরা কলাপাড়া ও তালতলী ভূমি অফিসের অসাধু স্টাফদের সহযোগিতায় বেআইনীভাবে তালতলীর উপজাতি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের জমির ভুয়া কাগজ তৈরি করে। ২০১৫ সালের ১ জুন ৫৪৮২ নং স্মারকে ওই একই দেওয়ানী ৫৪২/১৯৬২ মোকদ্দমার ১২৫.১২ একর জমির জাল সই মোহর তৈরি করেন।
বাস্তবে ওই তারিখ কিংবা স্মারকে বরিশাল বিজ্ঞ ২য় সাব জজ আদালত থেকে যে সই মোহর দেয়া হয়েছে, তা দেওয়ানী মোকদ্দমার ৮০/৬৩ এর। এমন জাল জালিয়াতির বিরুদ্ধে ওই এলাকার দেবেন্দ্র সিকদারের ছেলে মিলন সিকদার জেলার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
(মামলা নং- সিআর ৩৯৪/২০)। তবুও সোলেনামা করে ৫৪৮২ নং স্মারকে দেওয়ানী ৫৪২/১৯৬২ মোকদ্দমার ১২৫.১২ একর জমির জাল সই মোহর সত্য প্রমানিত করতে নিজেদের মধ্যে বাদী ও বিবাদী হয়ে আমতলী সহকারি জজ আদালতে একটি বন্টন মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং- ৫৭/২০২১)।
এমন জাল জালিয়াতির বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় কঠিন ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগের কাছে জোড় দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।